দেশ

রাজনৈতিক সংকটের গভীরে আবার ফিরে এল ‘রিসর্ট রাজনীতি’


চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:১৩ই মার্চ:–মধ‍্যপ্রদেশের রাজনৈতিক সংকটের গভীরে আবার ফিরে এলো সেই ‘রিসর্ট রাজনীতি’।

‘রিসর্ট রাজনীতি’র ইতিহাস খুব একটা পুরোনো নয়। এর
প্রথম সূত্রপাত হয়ছিল ২০১৭ সালে কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটকের ব‍্যাঙ্গালুরুতে কংগ্রেস বিধায়কদের রিসর্টে ঢুকিয়ে দেওয়া থেকে। যাতে বিজেপি কোনো ভাবেই সাংসদ ভাঙাতে না পারে। অনেকেই আবার ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে জনতা পার্টির নেতা রামকৃষ্ণ হেগড়ের প্রসঙ্গ তোলেন। সে যাই হোক ২০১৯ সালে কর্ণাটকের রাজনৈতিক নাটকে বার বার নজর কেড়েছিল এই ‘রিসর্ট রাজনীতি’। এবার মহারাষ্ট্র ঘুরে তা এলো মধ‍্যপ্রদেশে।

অবাক করা ব‍্যাপার এই, যে মধ‍্যপ্রদেশে দুটি যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরেই এই ‘রিসর্ট রাজনীতির’ রমরমা দেখা যাচ্ছে। দুপক্ষই মনে করছে একে অপরের বিধায়ক ভাঙিয়ে নিতে পারে। বিজেপি তাই কংগ্রেস সাংসদদের এনে রেখেছে গুরুগ্রামে এক বিলাসবহুল রিসর্টে। অপরদিকে কংগ্রেসও তৈরী বিধায়কদের রাজস্থান বা ছত্তিশগড়ে নিয়ে যাওয়ার জন‍্যে।

হোলির একদিন আগে হঠাৎ উধাও হোলো মধ‍্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকারের জ‍্যোতিরাদিত‍্য সহ ২২জন কংগ্রেস বিধায়ক। বিলাসবহুল রিসর্টে তাদের থাকা খাওয়া, যাওয়া আসা ও ‘ঘোড়া কেনাবেচার’ রাজনীতির খরচ কোটি কোটি টাকা। এই যে বিধায়ক কেনাবেচার রাজনীতি, সেখানেই উঠছে নৈতিকতার প্রশ্ন। উধাও মূল‍্যবোধ। তাছাড়া হিসাব বহির্ভূত এই কোটি কোটি টাকা আসছে কোথা থেকে ?তাহলে বিধানসভার কি আদৌ প্রয়োজনীয়তা আছে?

দু’পক্ষই বলছে বিধায়করা রয়েছেন তাদের সঙ্গে। কিন্তু ১৯ জনের সকলেই কি বিজেপিতে যেতে রাজি? জ‍্যোতিরাদিত‍্য বিজেপিতে গিয়ে নিজের একটা ব‍্যবস্থা করে নিতে পারলেও, অন‍্য কংগ্রেস বিধায়কদের পদত‍্যাগের পর কিন্তু আবার লড়াই করে জিতে আসতে হবে। সেই চিন্তা রয়েছে সকলের ই। পাঠানো হয়েছে কংগ্রেসের ‘মুসকিল আসান’ বলে পরিচিত ডিকে শিবকুমারকে। কংগ্রেস বিধায়কদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে ফেরত আনার জন‍্যে। সামনের সপ্তাহেই প্রমাণ হবে কার পাল্লা কতো ভারী। তবে একথা ঠিক, আগে এই বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠতো কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, এখন অভিযোগের তীর ঘুরে গেছে বিজেপির দিকে। যদিও এরাজ‍্যে পরিবর্তনের পর পঞ্চায়েত স্তর থেকে বিধানসভা স্তর পর্যন্ত এই ঘোড়া কেনাবেচার রাজনীতি তৃণমূল ভালোই রপ্ত করেছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।