দেশ

কেন্দ্র সরকার ছাঁটাই করল বিএস এন এল এর লক্ষ কর্মীকে।


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২রা ফেব্রুয়ারি:–বেতন মিললো না, মোদী সরকারের নিকৃষ্টতম পরিকল্পনাতে গত দুই মাসের বেতন না নিয়েই অবসরপ্রাপ্ত হয়ে গেলেন বিএস এন এল এর লক্ষ কর্মী।। দেশজুড়ে এই ১ লক্ষ কর্মীদের অবসর নিতে বাধ্য করা হল।। গত দশ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না বিএস এন এল এর ঠিকা শ্রমিকরা ।।এই অবস্থায় সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন নিয়মিত ও ঠিকা কর্মীরা।।

বিএস এন এল এর কর্মচারীরা তীব্র প্রতিবাদ করে জানিয়েছেন যে আগামী দিনে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বড় আকারের আন্দোলন করা হবে।।পুত্রের খবর অনুযায়ী বিএস এন এল এর ৭৮৫৫৩ জন নিয়মিত কর্মী দের ভি আর এস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।।এমন টি এন এল ও তাদের ১৪ হাজার কর্মী কে ভি আর এস নিতে বাধ্য করেছে।। এখন একটা প্রশ্ন উঠেছে এই যে এত কর্মীদের একসাথে ভি আর এস দেওয়া হল তাহলে গ্রাহক পরিষেবার কি হবে__ কর্মীদের সহজ প্রশ্ন কাজ হবে কি করে???? সরকারি ঘোষণা মতো পূর্ন গঠন করার করার কথা সম্পূর্ণ অন্তঃসারশূন্য বলে জানিয়েছেন কর্মী রা।। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বিএস এন এল কে রুগ্ন করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার যাতে খুব সহজেই একে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে পারে।।অল ইন্ডিয়া বিএস এন এল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের এর সভাপতি অনিমেষ মিত্র বলেন এই ১ লক্ষ কর্মী রা গত দুই মাসের বেতন না পেয়ে বিএস এন এল ছাড়তে বাধ্য হলেন।। আর এর ফলে ৯৩ হাজার পদের অবলুপ্তি ঘটলো এই ভিআর এস নেওয়ার জন্য।। আরও অমানবিক পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার ।। খুব শীঘ্রই ঠিকা শ্রমিক দের ছাঁটাই এর পথে চলবে কেন্দ্র সরকার।। নতুন কোন কর্মী নিয়োগ করা হবে না পুরো কাজ সম্পন্ন করা হবে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে।।আর খুব সাধারণ ভাবে গ্রাহক পরিষেবা ব্যাহত হবে ।।খরচ বাড়ার আশঙ্কা করছেন কর্মী রা।।

শনিবার কলকাতার সিটিও ভবন ও টেলিফোন ভবন এ পৃথকভাবে দুটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।।সিটিও ভবনে উপস্থিত ছিলেন অনিমেষ মিত্র,অনিন্দ্য সরকার,তাপস ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।। এই বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তাঁরা ডেপুটেশন দেন চিফ জেনারেল ম্যানেজার কে।। অন্যদিকে ঠিকা শ্রমিক দের ছাঁটাই রোধ ও পাওনা বেতন এর দাবি তে উত্তাল হয়ে ওঠে টেলিফোন ভবন।। বকেয়া ১০ মাসের বেতন অবিলম্বে মিটিয়ে দেবার দাবি তে সোচ্চার হয়ে উঠেন ঠিকা শ্রমিক রা।। এখানে বক্তব্য রাখেন শিশির রায়, অরূপ সরকার প্রভৃতি নেতৃবৃন্দ আর পরে ডেপুটেশন দেন সিজি এম কে।। আগামী ৪ ফ্রেব্রুয়ারি সিটিও ভবনে কনভেনশন হবে এবং তারপর ধর্নায় বসবেন শ্রমিক কর্মচারী গন।। ৩ রা মার্চ হবে দিল্লি অভিযান।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।