জেলা

জলপাইগুড়ি জেলার রেড ভলেনটিয়ার্স


দীপশুভ্র সান্যাল: চিন্তন নিউজ:১৬ই মে:– গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে অঘোষিত লকডাউন সকালে নির্দিষ্ট সময়ে দোকান বাজার খোলা থাকলেও বেলা ১১ টার পর থেকে শহর ছিল জনশূন্য বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাউকে জলপাইগুড়ি শহরে বের হতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে শহরে বেড়েই চলেছে করোণা আক্রান্তের সংখ্যা। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলা গুলিকে ছাপিয়ে করোণা আক্রান্ত সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে জলপাইগুড়ি। এর মাঝেই বিরামহীন কর্ম তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন জলপাইগুড়ির রেড ভলেন্টিয়ার্সরা। কোভিড আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন জলপাইগুড়ির এক চিকিৎসক ডক্টর প্রদীপ কুন্ডু র বয়স্কা শাশুড়ি। জলপাইগুড়ির পার্টির অন্যতম প্রাণপুরুষ কমরেড গোবিন্দ কুণ্ডুর ভ্রাতুষ্পুত্র ডক্টর প্রদীপ কুন্ডু ও তার পরিবারের মোট তিনজন করোনা আক্রান্ত। রাত থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তার শাশুড়ি। ফোন যায় ভলেন্টিয়ার দের কাছে অক্সিজেনের প্রয়োজন। সকাল হতেই রেড ভলেন্টিয়ার্স এর পক্ষ থেকে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া হল ডাক্তার বাবুর বাড়িতে। শহরের ২ নাম্বার ওয়ার্ড ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে রেড ভলেন্টিয়ার্স এর পক্ষ থেকে কোভিড আক্রান্তদের বাড়ি ও আশপাশের এলাকা সেনিটাইজেশন করা হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রেড ভলেন্টিয়ার্স এর পক্ষে পক্ষে এসএফআই নেতা অর্ঘ্যজ্যোতি সেনগুপ্ত, শুভময় ঘোষ, প্রভাকর সরকার, যুবনেতা বেদব্রত ঘোষ, সাম্য সরকার, পার্টি নেতা দীপশুভ্র সান্যাল, অভিক ভৌমিক, শিক্ষক নেতা যীশু ব্যানার্জি, সন্দীপ সাহা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সাংস্কৃতিক সংস্থা আনন্দধারার পক্ষ থেকে জলপাইগুড়ি হসপিটালের রোগীর পরিবার এর হাতে রান্না করা খাবার তুলে দেওয়া হয় মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, ডিমের ঝোল। সংস্থার সম্পাদক গৌতম দে জানালেন “লকডাউন এর কারণে সমস্ত হোটেল দোকানপাট বন্ধ জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর পরিবারের লোকেদের খাবার কোন ব্যবস্থা নেই। তাই আমরা আমাদের ক্ষুদ্র সামর্থের মধ্যে আজ আমরা দেড় শতাধিক মানুষের হাতে রান্না করা খাবার তুলে দিলাম।” তিনি আরো জানান সকলে অর্থ সাহায্য করলে এই পরিষেবা তারা সপ্তাহের সাত দিনই চালু রাখবেন।

জলপাইগুড়ি শহর ও শহরতলীতে প্রায়ই রাস্তায় দেখা যাচ্ছে কিছু কম বয়সী ছেলে বাইকের মাঝে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বা স্যানিটাইজার মেশিন দিয়ে পিপিই কিট পরে দিনরাত এ পাড়া ওপাড়া ছুটে বেড়াচ্ছে. তাদের পরিচয় তারা রেড ভলেন্টিয়ার. চাঁদিপুর থেকে গাড়িতে একটি করে লাল পতাকা. কখনো করোণা রোগীদের অক্সিজেন লাগাতে লাগাতে কবি হসপিটালের রোগীদের খাবার পৌঁছে দিতে করুণা আক্রান্ত বাড়ী স্যানিটাইজার করা. অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে এস এফ আই ও ডিওয়াইএফআই এর কর্মীদের নিয়ে তৈরি রেড ভলেন্টিয়ার. ময়নাগুড়ি জলপাইগুড়ি সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সজাগ হয়ে রয়েছেন. জলপাইগুড়ি শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছে রেড ভলেন্টিয়ার গ্রুপ.রবিবার এ বি পি টিএ সদর উত্তর ও পশ্চিম মন্ডলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই সমস্ত রেড ভলেন্টিয়ার দের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তাদের হাতে তুলে দিলেন পি পি ই কিট, অক্সিমিটার, স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ড যাতে এই ছোট ছোট ছেলেগুলোকে এই ভাইরাসের হাত থেকে কিছুটা সুরক্ষিত রাখা যায়. এ বি পি টি এ জলপাইগুড়ি জেলা অফিসে অনাড়ম্বর চালের মধ্য দিয়ে রেড ভলেন্টিয়ার দের হাতে তুলে দেওয়া হয় যয্যর্তষনএই সমস্ত সরঞ্জাম. এ বি পি টি এর পক্ষে জানানো হয়েছে জেলাজুড়ে এই রেড ফর এনটিআর দের পাশে সংগঠন দাঁড়াবে. তাদের প্রয়োজন মত সামগ্রী তাদের প্রদান করা হবে. আগামীতে ওরা যাতে আরো বেশি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে এই কারণে এ বি পি টি এর পক্ষ থেকে রেট ভলেন্টিয়ার দের যতটা সম্ভব সাহায্য সহযোগিতা তারা করবেন.


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।