রাজ্য

চিকিৎসা পরিষেবার বদলে দুর্নীতি ও টাকা লুটের জায়গা হয়ে উঠছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল


নিজস্ব সংবাদদাতা : চিন্তন নিউজ: ২২/০৯/২০২৩:- পরিবর্তনের জমানায় শাসক তৃণমূলের নেতাকর্মীরা শুধুমাত্র চাকরি চুরির কোটি কোটি টাকা লোপাট করেনি, এবার স্বাস্থ্য পরিষেবাকে একেবারে নিজেদের চুরির স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছে। হাসপাতালের সুপার থেকে শুরু করে মন্ত্রী সাংসদ বিধায়ক সবাই চুরি কাটমানি তোলাবাজিতে নিজেদের দক্ষ করে তুলেছে। এখন এমন অবস্থা যে শুধু ওষুধ, গজ, ব্যান্ডেজ, অক্সিজেন, বেড, কম্বল, চাদর, ট্রলি সহ অন্যান্য সরঞ্জাম কেনা থেকে কাটমানি আর কমিশন খেয়ে পোষাচ্ছে না, তাই ডাক্তারদের বদলি করার নামে তাদের থেকেও লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ খাওয়ার অভিযোগ করছে খোদ তৃণমূলের নেতা!

২০% কমিশন না দিলে টেন্ডার পাশ হবে না, কোন কাজ হবে না আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে!এবার অধ্যক্ষ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের এক মহিলা আধিকারিকের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে ডাক্তারদের বদলি করার অভিযোগ করলেন শাসক ঘনিষ্ঠ আর এক আধিকারিক নন্ মেডিকেল ডেপুটি সুপার।

অভিযোগ– আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আগের প্রিন্সিপাল ডঃ সন্দীপ ঘোষ বেআইনি ভাবে কলেজ এ্যাকাডেমি বিল্ডিং এর নিচে সাইবার কাফে এবং হাসপাতালের মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় দোকান করার অনুমোদন দিয়ে গেছেন অর্থের বিনিময়ে!

এই সব ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগে যখন খোদ আর জি কর হাসপাতালের প্রধান অভিযুক্ত তখন মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা শিকেয় উঠেছে।

হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোর মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে রোগীদের। দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়েছে হাসপাতালে। আউটডোরে দিনের পর লাইন দিয়েও চিকিৎসা না পেরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নেই, নার্স নেই, ওয়ার্ড বয় নেই, কর্মী নেই ফলে বহু ক্ষেত্রে বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে যাচ্ছে।

প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই। স্বাস্থ্য দফতর নির্বিকার।আর শাসক তৃণমূল ঘণিষ্ঠ আধিকারিকরা দুর্নীতির লুটের টাকা ভাগাভাগিতে ব্যস্ত। হাসপাতালের এই অরাজক অবস্থার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে।দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। যাতে হাসপাতালে মানুষ ন্যুনতম চিকিৎসার সুযোগ পান।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।