রাজ্য

নেই সুরক্ষা, মুটিয়ারা চরম বিপদে।



সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ৬ জুন: সাধারণ সামাজিক সুরক্ষা নেই। সামান্য মজুরীতে দিন গুজরান। শীত হোক বা গরম বা বর্ষা, সবকিছু উপেক্ষা করে চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছেন অসংগঠিত শ্রমিক, মুটে, মজদুররা।
চন্দননগর লক্ষীগঞ্জ বাজারের মুটিয়াদের সাথে কথা বলে তাদের অবস্থা নিয়ে অনেক কিছু জানা গেল। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি মাল খালাস করেন আর পৌঁছে দেন বিভিন্ন জায়গাতে। এরকমই একজন মুটিয়া হরেরাম সিং বললেন “মালপত্রের গাড়ি এলে কাজ পাই, না এলে বসে থাকি। কাজ হলে যা মজুরী পাই তাতেই সংসার ওষুধ সব সামলাতে হয়।” হরেরাম সিং জানালেন তার দুরারোগ্য অসুখ। ওষুধ খাবেন কি, সংসার ই চলে না। আরেক মুটিয়া বোয়েলাল জানালেন তার আদি বাস বিহার। সেখান থেকে কাজের জন্য এসেছেন। জানালেন কাজের কোন ঠিক নেই। দুদিন কাজ তো দুদিন বসে থাকা। শ্রমিক সাহেব সিং জানালেন খাটুনির তুলনায় মজুরী নেই।
যারা রেল ইয়ার্ড-এ এফ.সি.আই গোডাউনে কাজ করেন তাদের সাথে সরকারি অফিসার দের চুক্তি করে মজুরী ঠিক হয়। ব্যবসায়ি সমিতির সাথে চুক্তি হয়। এরা মজুরী টা পায়। কিন্তু বাজার এলাকা তে মুটিয়ারা আছে চরম সংকটে। তাদের সামাজিক সুরক্ষা নেই কিচ্ছু। মাথার উপর ছাদ নেই, পানীয়জল নেই, তার উপর কাজের ঝুঁকি। কাজ করতে গিয়ে বিপদ হলে নেই ক্ষতি পূরণ।
নিজের দেশে এরা চাষবাস করত, পরে তারা এ রাজ্যে আসে কাজের সন্ধানে। এরা সাধারণত দলিত শ্রেণি। কাগজ ঠিক থাকে না বলে এরা তোলাবাজদের খপ্পর এ পড়ে। মুটিয়া মজদুর ফেডারেশন এর রাজ্য সম্পাদক জানালেন যে বামফ্রন্ট আমলে হিমঘরে শ্রমিকদের সাথে মজদুর ইউনিয়নের প্রতিবছর চুক্তি হত।ভবিষ্যনিধি প্রকল্পে এদের সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছিল বামফ্রট সরকার। তৃনমুল আসার পর থেকে এরা সবরকম সুবিধে থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সবথেকে কষ্টের কথা এদের ঘাড়ে মাল বয়ে বয়ে এক ধরনের ব্যাথা হয়। এতে এদের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। কিন্ত সরকার উদাসীন। মুটিয়ারা সঙ্কটে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।