রাজ্য

রাজ্যে হাহাকার রক্তের


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ৭ জুন: আমাদের বাংলা এখন নেই এর রাজ্য। এখানে কিচ্ছু নেই।মানুষের জীবনদায়ী রক্ত, সেই রক্তের হাহাকারে ভুগছে সরকারি বেসরকারি ব্লাডব্যাংক গুলি। এই দুঃসহ গরমে আরও তীব্র হচ্ছে রক্ত সংকট। তার উপর সদ্য সমাপ্ত হল লোকসভা ভোট। ফলে অনিয়মিত হয়ে পড়েছে রক্ত সংগ্রহের কাজ। ব্লাড ব্যাংকগুলিতে লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। বাড়ছে ক্ষোভ। কিন্ত রাজ্য সরকার সব দেখে শুনেও চুপ, কোন হেলদোল নেই। গত ৭ দিন ধরে সহজলভ্য এ পজিটিভ, বি পজিটিভ বা ও পজিটিভ রক্তের আকাল পড়েছে। মানুষ জন জানেই না কোথায় গেলে মিলবে তাদের প্রয়োজনীয় রক্ত।
সবচাইতে ভয়াভয় অবস্থা থ্যালাসেমিয়া রোগীদের। যে কোন অপারেশন জটিল হয়ে পড়ছে রক্তের অভাবে। তথাকথিত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলি চরম ব্যর্থ রক্তের জোগান দিতে।
প্রতি বছর গরমে রক্তের চাহিদা চরমে উঠে। তার উপর ভোট থাকলে অবস্থা আরও করুণ হয়ে উঠে। সরকারি উদ্যোগে শিবির করা বা রক্তদানের কোন প্রচার নেই। লিফলেট বিলির উদ্যোগ নেই। ফলে শিবির এর সংখ্যা দ্রুত হারে কমছে। এর ফলে ব্লাড ব্যাংকগুলি তে কমছে রক্তের স্টক। স্বাস্থ্য দপ্তর বলতেই পারছে না কোথায় কত পরিমান কোন গ্রুপ এর রক্ত মিলবে। কারণ তথ্য আপডেট হয় না বলে দাবী সমাজকর্মীদের।
কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য দপ্তর ঘোষনা করে রাজ্যে ৭০ টি ব্লাড ব্যাংক যথেষ্ট নয়, তাই আরও ব্লাড ব্যাংক গড়া হবে। করাও হয়েছিল, কিন্তু কয়েকদিনের মধ্য এ বেয়াব্রু হয়ে পড়েছে প্রকৃত চিত্র।
শুধু তাই না, ডেঙ্গুর কারণে রক্তের চাহিদা হয় ব্যাপক। সেই সুযোগটা নেয় শাসকদলের কিছু অমানবিক লোক। তারা প্লেটলেটস বিক্রির কালোবাজারী শুরু করে। এ নিয়ে ব্যাপক হৈচৈও হয়েছিল। কিন্তু এই অমানবিক সরকার নড়ে চড়ে বসেনি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।