রাজ্য

শহীদ সুভাষ সরকার স্মরণে ধূপগুড়িতে রক্তদান শিবির।


সঞ্জিত দে: ধূপগুড়ি: চিন্তন নিউজ:৭ আগষ্ট:- ২০০০ সালের ৭ আগষ্ট বেলা ১১ টা ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের ঠিক পিছনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভাওয়াল পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়াদের ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক সুভাষ সরকার। আচমকা বাইকে চেপে দুই যুবক ক্লাস রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। দ্রুত তারা বাইক চালিয়ে চলে যায়। কিছু বোঝার আগেই সুভাষ সরকারের দেহ মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে।সুভাষ সরকার ছিলেন পার্টির তদানীন্তন সময়ে ধূপগুড়ি জোনাল সম্পাদক এবং সারাভারত কৃষক সভার জলপাইগুড়ি জেলা নেতা।কিছু সময় বাদেই জানা যায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ময়নাগুড়ির মৌলানি গ্রামে গলিন্দ্র নাথ হাইস্কুলেও একই সময়ে একইভাবে ক্লাস রুমের ভিতরে শিক্ষক নিতাই দাসকে খুন করে কে এল ও জঙ্গীবাহিনী।

উত্তরবঙ্গকে পৃথক কামতাপুর রাজ্য করার দাবিদার কামতাপুর পিপলস পার্টির উগ্রপন্থী সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের ( কে এল ও) বাহিনী এই দুই হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত।এই দুই শহীদ পার্টি নেতৃত্বের স্মরনে প্রতিবছর ধূপগুড়ি ও ময়নাগুড়িতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয় এবং ডি ওয়াইএফ আইয়ের উদ্যোগে রক্তদান শিবির করা হয়। এদিন সকাল সাতটায় প্রথম কর্মসূচি হয় সূর্য্যসেন কলোনিতে ধূপগুড়ি পার্টির পুরাতন অফিসে। এই কলোনিতেই শহীদ সুভাষ সরকার বসবাস করতেন।এখানে পার্টি সদস্যদের উপস্থিতিতে পতাকা উত্তোলন করে আলোচনা করেন পার্টির প্রবীন সদস্য শহীদ সুভাষ সরকারের অনুজ দেবেশ সরকার। সকাল দশটায় বর্তমান পার্টি কার্যালয়েও পার্টি সদস্য কর্মী সমর্থক বিভিন্ন গন সংগঠনের নেতৃত্বের উপস্থিতিতে শহীদ স্মরন করা হয়।বেলা ১১ টায় ডি ওয়াই এফ আইয়ের সদর লোকাল কমিটির উদ্যোগে রক্তদান শিবির শুরু হয়।১১ জন যুবতি সহ ৭৬ জন রক্তদান করেন।মালবাজার রক্ত সঞ্চয় কেন্দ্রে এই রক্ত দান করা হয়। ময়নাগুড়িতেও দিনটি শ্রদ্ধার সাথে পালিত হয় এখানেও ৭৬ জন রক্তদান করেন। এই শিবিরের সংগৃহীত রক্ত জলপাইগুড়ি রক্ত সঞ্চয় কেন্দ্রে তুলে দেওয়া হয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।