রাজ্য

আজও মুখ্যমন্ত্রী এড়িয়ে যান নিজের দপ্তর নিয়ে প্রশ্ন


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ১১জুলাই: শ্রম দপ্তরের উত্তর দেন মমতা ব্যানার্জী তথা মুখ্যমন্ত্রী। নদী বাঁধ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিভাগীয়  মন্ত্রীকে দাঁড় করিয়ে রেখে  উত্তর দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার নিজের হাতে  যে দপ্তরগুলি আছে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর দেওয়ার কোন আগ্রহ নেই মমতা ব্যানার্জীর।

শ্রম, সেচ সহ বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীদের থামিয়ে  মুখ্যমন্ত্রী  সেই বিষয় নিয়ে সরব হন। কংগ্রেস  নেতা মনোজ চক্রবর্তী চিৎকার  করে বলতে শুরু করেন যে মুখ্যমন্ত্রী  সব দপ্তরের কাজের হিসেব দিয়ে দিচ্ছেন কিন্তু তার নিজের হাতে যে একাধিক দপ্তর আছে যেমন স্বরাষ্ট্র, পুলিশ, সংখ্যা লঘু উন্নয়ন, ভূমি রাজস্ব, কোনও দপ্তরেরই প্রশ্ন থাকছে না। এই বিধায়কের চিৎকারের জন্য কিছুক্ষণ  এর জন্য সভা স্তব্ধ হয়ে যায়।

অধ্যক্ষ বিমান মুখার্জী বলেন, “বিধানসভার কার্য বিবরণী  সভায় এসব নিয়ে আলোচনা  হয়ে গেছে তাই এখানে  এসব নিয়ে আলোচনা  করা যাবে না।” বিধায়ক  মনোজ বাবু বলেন, “মমতার দপ্তর নিয়ে বিধানসভায় কোন আলোচনা  হয় না, বাজেটেও আলোচনার  সুযোগ  থাকছে না। এটা চরম অনৈতিক ব্যাপার।  একাধিক দপ্তরকে গিলোটিনে পাঠান হচ্ছে। ফলে বাজেট আলোচনাতে এগুলো নিয়ে আলোচনার কোন সুযোগ  থাকছে না।

এদিন সেচ দপ্তরের প্রশ্ন চলাকালীন  মমতা ব্যানার্জি ঢোকেন  এবং মন্ত্রী শুভেন্দুকে থামিয়ে নিজেই উত্তর দিতে শুরু করেন। যেমন দক্ষিন দিনাজপুরের বাম বিধায়ক নর্মদা রায় সেচ মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন  আত্রেয়ী, পুনর্ভবা  এই নদী গুলির উতস বাংলাদেশ।  সেখান থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এই নদী গুলিতে বাঁধ দিয়ে দিয়েছে বলে এরাজ্যে নদী গুলি শুকিয়ে  গেছে। আত্রেয়ী  নদীতে জল নেই।এখানে একটি জল প্রকল্প  চালু ছিল, কিন্তু জল না থাকায় সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। পানীয় জলের সংকট বাড়ছে। মাছ ব্যাবসায়ীরা চরম সংকটে পড়েছে। উত্তর দিতে উঠে দাঁড়ান  সেচ মন্ত্রী। তাকে থামিয়ে দেন মমতা ব্যানার্জী। বলতে শুরু করেন এই ঘটনা নজরে আসার পর তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর  কাছে উল্লেখ  করেছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী   ও বিদেশ মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। কিন্তু বিষয়টিতে গুরুত্ব  দেওয়া হয়নি। একই ভাবে ফারাক্কা ব্যারেজ, মালদার বন্যা নিয়ে  সেচ মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রীকে থামিয়ে মুখ্যমন্ত্রী  জবাব দেন।

মন্ত্রীদের দাঁড় করিয়ে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর  একের পর এক জবাব চলাকালীন কংগ্রেস বিধায়ক  প্রতিবাদ করেন। তবে এদিন বাম বিধায়ক  তাপসী  মন্ডলের প্রশ্নের জবাবে মলয় ঘটক বলেন যে ২০১১ সালের পর থেকে এ রাজ্যে কোন কারখানা বন্ধ হয়নি। হলদিয়ার দুটি কারখানা বন্ধ  নিয়ে প্রশ্ন করছিলেন বাম বিধায়ক। তার জবাবে শ্রম মন্ত্রী  এই উত্তর দেন।তখন অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী  মমতা ব্যানার্জী   চুপ করে বসেছিলেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।