রাজনৈতিক রাজ্য

বন্যাত্রাণের টাকা আত্মস্যাৎ করে ফেরার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান।


বিশেষ প্রতিবেদন, কল্পনা গুপ্ত, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ – রাজ্যে বন্যায় বিপর্যয় পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেই নিয়মের দোহাই দিয়ে বিরাট আর্থিক বেনিয়ম করে চলেছে রাজ্যের বর্তমান প্রশাসনিক কর্তা ব্যাক্তিরা। ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলা ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭০,০০০ টাকা এবং যারা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ৩৩০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। দেখা যায় এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা সেই টাকা পাননি, ফলে অভিযোগ উঠতে থাকে মালদার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে।

চার বছর ধরে এই দুর্নীতি সম্বন্ধে তৃণমূল প্রশাসন কোন দায়ভার গ্রহন করেনি। এখন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান আদালতে মামলা করলে প্রশাসন সচেতন হয়ে ওঠে। গত দু’মাস ধরে মালদার পঞ্চায়েত প্রধান সোনামনি সাহা এবং একই অভিযোগে হরিশচন্দ্রপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কোয়েল দাস, আরো কয়েকজন ফেরার। সোনামণি সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ ত্রাণের ৭৬ লক্ষ টাকা নিয়ে তিনি ফেরার হয়েছেন।

অভিযোগ তালিকায় ক্ষতিগ্রস্তদের নাম রয়েছে, একাউন্ট নাম্বার হিসাবে তাদের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারটির বদলে তৃণমূল নেতার নম্বর দেওয়া হয় এবং সেই একাউন্টেই টাকা জমা পড়ে। ফলে ত্রাণের টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবর্তে পৌঁছে যায় তৃণমূলের নেতাদের একাউন্টে।

কলকাতা হাইকোর্ট থেকে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্যাগকে। সততার প্রতীক কিভাবে বেনিয়মের প্রতীক হয়ে উঠছে তা প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় মাথা হেঁট হচ্ছে তৃণমূল সরকারের। এই বিষয়ে আদালতের রিপোর্ট পেশ করা হবে আগামী ১৪ ই ফেব্রুয়ারীর মধ্যে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।