সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১২ই জুন:-এক চরম অন্ধকার ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে বাংলার মহিলা ফুটবলারদের।। ইস্টবেঙ্গলের বহু সমর্থকদের কাছে তুলসী হেমব্রম,মুগলী হাঁসদা বা মমতা হাঁসদা এই নামগুলো অচেনা কিন্তু এঁরা সকলেই ইস্টবেঙ্গলের মহিলা শাখার খেলোয়াড়।। এঁরা সকলেই লালহলুদ জার্সি গায়ে সবুজ মাঠে বল দখলের লড়াই করেছেন।। চরম দারিদ্র্যতার মধ্যে , সামাজিক অসহযোগিতা ইত্যাদি সামলে তাদের লড়াই।। এতদিন ছিল খেলার জন্য লড়াই এখন খিদের বিরুদ্ধে লড়াই।। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আর তার জন্য লকডাউন তাদের এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।। যাদের পায়ে ফুটবল থাকার কথা এখন তাদের হাতে লাঙ্গল কারন এসময়ের লড়াইটা বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য জোটানোর জন্য।।
শুধু ইষ্টবেঙ্গল দলের মহিলা ফুটবল খেলোয়াড় দের এমন করুণ দশা নয় দীপ্তি সংঘ এর মতো ক্লাবের সদস্যরা এই একই রকম ভাবে দূর্দশার শিকার।। পুরুষ ফুটবলাররা সবসময়তেই খবর বা অন্যান্য যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে তখন মহিলা ফুটবলারা শুধু মাত্র বেঁচে থাকার লড়াই চালাতে বাধ্য হন।।
বহু রাজ্য থেকে ট্রায়াল দিতে আসা ফুটবল খেলোয়াড় থেকে বেছে বেছে ইষ্টবেঙ্গল দল মহিলা ফুটবল দল গঠন করেছিল বহুবছর পর এবং তাঁদের থাকা খাওয়া ও খেলা চালিয়ে যাবার জন্য বিরাটিতে একটা ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। তবে এখন সব অতীত ।। মারণ ভাইরাস করোনার জন্য যে যার বাড়ীতে ফিরে গেছেন । কিন্তু পেট চলবে কি করে? যখন এই প্রশ্নটা বড় তখন বাড়ীর পুরুষদের সাথে লাঙ্গল তো ধরতেই হবে।। ফুটবলাররা বলের লড়াই ছেড়ে এখন চাষবাসে মন দিয়েছে।। ইষ্টবেঙ্গল মহিলা ফুটবল দলের ম্যানেজার ইন্দ্রানী ঘোষ সরকার জানান যে মহিলা ফুটবলাররা প্রধানত জঙ্গল মহলের অধিবাসী এবং তাঁরা খুব গরিব ঘর থেকে উঠে আসে চোখে ফুটবল খেলার একরাশ স্বপ্ন নিয়ে।। এখন এই সংকট এর সময় তাঁদের স্বপ্ন ফিকে কিন্তু ক্লাবের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব সাহায্য করা হচ্ছে কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।। তাই এই সব খেলোয়াড়দের কৃষিকাজে মন দিতে হয়েছে।