দেবু রায়:,নিজস্ব প্রতিবেদন:- চিন্তন নিউজ: ৯ই ফেব্রুয়ারি:– যতই ভোট এগিয়ে আসছে , ততই উন্নয়ন এর ঢোল বাজাতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দল গুলি, তৃণমূল বলছে বাংলার এতো উন্নয়ন হয়েছে যা অতীতে কোনো দিন হয় নি. বিজেপি বলছে আমাদের আনুন উন্নয়ন এর বন্যা বহিয়ে দেবো. আবার বামেরা বলছে ৩৪বছরের সাথে মিলিয়ে দেখুন রাজ্যে দশ বছরের আর কেন্দ্রের ছয় বছরের।
এই সব সব সময় দেখতে -দেখতে আমরা ভুলে যাই উন্নয়ন কাকে বলে? অর্থনীতিতে উন্নয়ন বলতে বোঝায় মানুষের হাতে পয়সা থাকবে , বাজারে যাবে, জিনিস কিনবে, অর্থাৎ সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার মান বাড়বে. কিন্তু মিডিয়ার এবং তৃণমূলের উন্নয়নের সংজ্ঞা হলো কাঁচা রাস্তাকে পাকা করা , সুন্দর আলো দিয়ে সাজানো। কিন্তু বলুন তো এই ব্যবস্থাকে ডেকোরেশন বলে না উন্নয়ন বলে ?এই ডেকোরেশন দেখতে ভালো লাগে, কিন্তু ভিতরে যে দারিদ্রতা, বেকারত্বের ক্যান্সারটা থাকে তাকে কি লুকিয়ে রাখা যায়? কি অবস্থায় আমরা চলছি , বাজারে গেলে যেটাই ধরছি ছ্যাকা মারছে , লকডাউন এর পরবর্তী সময় কত মানুষের রোজগার কমে গেছে , চাকরি নেই। আর তখন ক্লাবগুলোকে টাকা দিয়ে উন্নয়ন বিলোচ্ছেন. কন্যাশ্রী, যুবশ্রী দেবার দরকারী পড়তো না, যদি কন্যাশ্রীর পিতার মাসে ২৫০০০/-টাকা চাকরির ব্যবস্থা করতেন , কারণ পকেটে টাকা থাকলে মানুষ শুধু সাইকেল কিনতো না আরো অনেক কিছুই কিনতো। যার ফলে বাজারে চাহিদা বাড়তো, পুঁজি নিয়োগ হতো। শ্রমিকের চাহিদা বাড়তো, নিয়োগ হতো অর্থাৎ অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করতো। কিন্তু হলো না, কারন মাননীয়া সব সময় চান মানুষ তার মূখাপেক্ষি হয়ে থাকুক , আর আমরা এতই শিক্ষিত হয়েছি যে এই সাধারন কথা টা বুঝি না. মূখ আর মুখোশ দুটোকেই আমরা এক করে ফেলি মিডিয়া দেখে। এবার আসা যাক ভাতার প্রশ্নে, আচ্ছা একজন বিধবাকে মাসে ১০০০টাকা ভাতা দেওয়া হবে ভালো কথা , কিন্তু বলুন তো আজকের বাজারে ১০০০/-টাকা দিয়ে কি একজন মানুষের চলে ?যেখানে গ্যাসের দাম ৮০০টাকা তারপর ?
যদি কমিউনিটি রান্না ঘর না থাকে তো ওই বিধবাকে তো ভাতা নিয়েও না খেয়ে মরতে হবে ? অথচ এই নির্মম সত্যি টা অনেকেই বুঝতে চাই না, বা পারি না, অথচ আমরা অনেকেই শিক্ষিত, তবুও মূর্খর মতন থাকি , তাই এই রাজ্যে আজ দিদির বা দাদার দল করাটা একটা পেশা, সমাজ সেবা একটা গল্প মাত্র. নিজের সেবটাই আসল।
পরিশেষে একটা কথা আমি বলবো একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন, এই যে বহুল প্রচারিত স্বাস্থ সাথী দেয়া হচ্ছে, যারা নাচা নাচি করছেন তাঁদের কাছে একটা প্রশ্ন রাখছি ধরুন পাঁচ লক্ষ লোক আগামী তিন মাসের মধ্যে নার্সিং হোম ভর্তি হলো এবং এক-এক জনের গড় খরচ পড়লো দুই লক্ষ টাকা তাহলে হিসাবটা কি দাঁড়ালো৫০০০০০×২০০০০০ =?. অঙ্কটা করুন কত হয়! আচ্ছা অতো টাকার সংস্থান কি সরকারের স্বাস্থ্য খাতে ব্যায় বরাদ্দ ধরা আছে ? অথচ আমাদের গীতা নামক মিডিয়া চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে চোদ্দ ঘন্টা স্বাস্থ্য সাথীর কথা শুনিয়ে যাচ্ছে, কখনো কিন্তু আমার প্রশ্ন গুলো তুলে ধরে না, কারন লক্ষী লাভ?