রাজ্য

গঙ্গা সাগরে পূণ্যস্নানে এসে দূর্ভোগে মানুষ।


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:১৫ই জানুয়ারি:–সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ১৫ জানুয়ারি: রাত পোহাতেই শুরু হয়ে গেছে গঙ্গাসাগরে গঙ্গা স্নান। এবারের মেলায় ভীড় অন্যান্য বছর গুলোর তুলনায় অনেক কম। মেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে ব্যাবসায়ীরা তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছেন কিন্তু ক্রেতাদের ভিড় নেই। কারন মেলাতে তো ভীড়টাই জমেনি। সিভিক পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা, বি এস এন এল এর কর্মীরা প্রায় সকলেই জানাচ্ছেন মেলায় অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম ভীড়। আবার তাদের আশা মানুষ আসবেন এবং মেলায় ভীড় হবে।

মেলা প্রাঙ্গণ দু’দিন আগে থেকেই আলোয় আলোকিত, সিসিটিভি টিভি ক্যামেরায় মেলা প্রাঙ্গণ মুড়ে ফেলা হয়েছে। স্থায়ী অস্থায়ী দোকানপাটে জমজমাট; পসরা নিয়ে অপেক্ষায় ব্যাবসায়ীরা। এখনো টুকটাক কাজ চলছে। মেলা প্রাঙ্গণকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে সংগঠকরা বদ্ধপরিকর। অথচ ভাঙা চোরা ঝুপড়ি দোকান ঘর, যা সাগরের ধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেগুলো সরানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রচন্ড ভাবে ব্যাহত। এর ফলে মেলায় আসা পর্যটকদের খুব অসুবিধায় পড়ছে। তারা পরিবার পরিজনের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ করতে পারছেন না। মেলায় এসে অনেকেই দলছুট হয়ে পড়ছেন। তারাও তাদের দলের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না। সুতরাং মেলায় যাত্রী হারানোর সংখ্যা বাড়বে এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিকে শীতকাল, প্রচন্ড ঠান্ডা, বিকেল হতে না হতেই কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে মেলার মাঠ। অনেকের আশ্রয় না মেলায় খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে। অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এরকম অন্তত ৩৪ জনকে কলকাতা ও আশেপাশের হসপিটালে ভর্তি করতে হয়েছে। এত অসুবিধার মধ্যে চলছে নানারকম কেপমারীর ঘটনা। ইতিমধ্যেই অন্তত ১১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উল্টোদিকে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মেলার মাঠে ছোট বড় গাড়ী চালানো হচ্ছে। এরকম প্রায় ৮৭টি গাড়ি আটক করেছে পুলিশ।

কিশোর বাহিনী পশ্চিম বাংলা রাজ্য সংগঠক শিবির শুরু করেছে গঙ্গা সাগরে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ১১০ জন এই শিবিরে যোগ দিয়েছেন। ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির সম্পাদক শ্যামল মুখোপাধ্যায় জানান প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে তাঁরাও এসেছেন গঙ্গা সাগরে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।