রাজ্য

রাতের অন্ধকারে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা।


রাহুল চ্যাটার্জি:চিন্তন নিউজ:১৬ই জানুয়ারি:—রাতের অন্ধকারে হামলা বিশ্বভারতীতে। হামলাকারীরা এবিভিপি বলে দাবি আক্রান্ত ছাত্রদের।রাতের বেলা এবিভিপির হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু পড়ুয়াদের। বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্য্যালয়ের গেট আটকে চূড়ান্ত ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন পড়ুয়ারা। হামলাকারীদের পাশাপাশি উপাচার্যের বিরুদ্ধেও সমান ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের অভিযোগ, উপাচার্যের মদতেই এত বেপরোয়া হয়ে ঊঠেছে এবিভিপির দুষ্কৃতিরা। হামলাকারি অচিন্ত্য বাগদি, সাবির আলি, সুলভ কর্মকার প্রভৃতিরা মদ্যপ অবস্থায় হস্টেল ও হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে তান্ডব চালানোর সাহস পেয়েছে। আক্রান্ত ছাত্রদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে থানায়। পুলিস জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভীত্তিতে অচিন্ত্য বাগদি ও সাবির আলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

শোনা যাচ্ছে, গত প্রায় সাত-আট বছর ধরে নানা কৌশলে বিশ্বভারতীর ছাত্রের তকমা লাগিয়ে বসে আছে অচিন্ত্য বাগদি। অপরজন সাবির আলি বর্তমানে ছাত্র‌ই নয়। মদ্যপ অবস্থায় রাতের অন্ধকারে এই দুজনের আক্রমনের শিকার হয়েছেন বিশ্বভারতীর দুই ছাত্র সাঁওতালি বিভাগের দেবব্রত নাথ এবং অর্থনীতির ছাত্র স্বপ্ননীল মুখার্জি। তাদের বেধরক মারা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। বিশ্বভারতীর পিয়ারসন হাসপাতালে ঢুকে পর্যন্ত তান্ডব চালিয়েছে অচিন্ত্য বাগদি ও সাবির আলিরা/।

প্রসঙ্গত আক্রান্ত দুই ছাত্রই অগ্রনী ভুমিকা নিয়েছিলেন গত ৮জানুয়ারি সাধারণ ধর্মঘটের দিন বিশ্বভারতী স্তব্ধ করার আন্দোলনে। দিনভর রাস্তায় ছিলেন তারা। সিএএ-র স্বপক্ষে ভাষন দিতে আসা বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে ঘেরাও করা পড়ুয়াদের মধ্যে ছিলেন আক্রান্ত এই দুজন। বুধবার রাতে বিদ্যা ভবন হস্টেলের সামনে পোস্টার মারার সময় আক্রমন হয় এদের উপর। আক্রমনের খবর পেয়ে এসএফআই নেতা সোমনাথ সৌ,আরএসএফ নেতা ফাল্গুনি পান হাসপাতালে ছুটে গেলে তাকে ঘিরেও বচসা, হুমকি দেয় বহিরাগত এবিভিপিরা।

পড়ুয়াদের ক্ষোভ অবশ্য বেশী উপাচার্যের উপর। কারন উপাচার্যের মদতেই এই ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছে ছাত্র ও শিক্ষক মহল।। আক্রমনকারীরা এতই বেপরোয়া ছিল যে হামলার পরেও তারা নিশ্চিন্তে হাসপাতাল ঘেরাও করে দাড়িয়েছিল। আক্রান্তদের দেখতে যাওয়া অধ্যাপকদের পড়তে হয়েছে তাদের হুমকির কাছে।

বুধবারের রাত আরো একবার দেখিয়ে দিয়েছে, ক্যাম্পাস পড়ুয়াদের জন্য কতটা নিরাপদ। ছাত্র আন্দোলন দমনে কতটা ন্যাক্কারজনক চক্রান্ত চলছে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে। হামলা পরিকল্পিত কেন? কারন রাতের অন্ধকারে পড়ুয়াদের উপর হামলার আগে অবশ্য আর এক আক্রমন নেমে আসে অধ্যাপকদের উপর। বুধবার বিকেলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তালাবন্ধের নোটিশ জারি করেছে বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি এসোসিয়েশনের অফিসে। কারন অধ্যাপক সংগঠনের অধিকাংশ সামিল হয়েছিলেন ধর্মঘটে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।