সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১৮ই এপ্রিল:- করোনা সংক্রমণের গভর্নমেন্টের অস্বীকার করার মধ্যে রাজ্যে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ এর আশঙ্কা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।।মৌলালি তে বসতেন এক সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরের এক আধিকারিক।। জানতে পারা গেছে এই আধিকারিক কোভিড১৯ এ আক্রান্ত।। অথচ সেই অবস্থা যে তিনি প্রতিদিন স্টোরে এসেছেন ,এখান থেকেই মাস্ক, স্যানিটাইজার , গ্লাভস ও পিপিই সরাবরাহ করা হয়েছে।। এই পর্বে তিনি স্বাস্থ্য ভবনেও গেছেন ও অনেক মানুষের কাছাকাছি গেছেন।। অথচ এই সময় তিনি জ্বর, সর্দি কাশি তে ভুগছিলেন পরে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার পর জানতে পারা যায় তিনি কোভিড১৯ এ আক্রান্ত।। আরও জানা গেছে তিনি আক্রান্ত অবস্থাতে স্বাস্থ্য ভবনে গেছেন সেহেতু ওখানকার অনেক আধিকারিককে কোয়ারান্টিনে পাঠানো হ’তে পারে তবে কতজন কে পাঠানো হবে তা জানাতে অস্বীকার করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।।ওই স্টোরের কর্মীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে।।
যখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী গর্বের সাথে ঘোষণা করেছেন বাংলাতে করোনা আক্রান্তের সবচেয়ে ভালো হচ্ছে ঠিক সেই সময় ক্যান্সার আক্রান্ত এক রোগীর দেহে মিলল কোভিড১৯ এর ভাইরাস।। মুখ্যমন্ত্রীর অস্বস্তি আরো বাড়িয়ে দিল সরকারি হাসপাতালের এক নার্স ,এক আধিকারিক এর শরীরে মিললো কোভিড১৯ এর ভাইরাস।। করোনা সংক্রমণ এর শঙ্কা খোদ স্বাস্থ্য ভবনেও।। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তৈরি কমিটির হিসাব মতো মৃত্যুর কোন তথ্য নেই।।তাই মেডিকেল বুলেটিন এ জানানো হয়েছে মৃতের সংখ্যা বাড়ে নি তা দশই আছে।। অথচ সুত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে রাজারহাটের এক বেসরকারি হাসপাতালে ক্যান্সার আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে যার কিনা করোনা পজিটিভ ছিল। যে মৃত্যুকে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু নয় বলছে তার কেন নির্দিষ্ট বিধি মেনে সৎকার করা হলো তার কোন সদুত্তর পাওয়া যায় নি।।
সুত্রের খবর অনুযায়ী গত ৭২ ঘন্টায় করোনা ভাইরাস পজিটিভে সংক্রামিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩ । অর্থাৎ এখন পশ্চিমবঙ্গের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। এই তিনটি মৃত্যু হয়েছে রাজারহাট, বাইপাস এর ধারে একটি নার্সিংহোমে ও বর্ধমান জেলার জাতীয় সড়কের পাশে একটি কোভিড হাসপাতালে।। অথচ মুখ্যমন্ত্রী গঠিত কমিটি এই মৃত্যু গুলোকে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিনা তা বিবেচনায় রেখেছে।।
এদিকে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের এক নার্স।। জ্বর সর্দি কাশি র উপসর্গ নিয়েও তিনি বুধবার রাত পর্যন্ত ডিউটি করেছেন।।এর ফলে ওই হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না কোনো মতেই।। আরোও বিপদের আশঙ্কা যে এন আর এস হসপিটালের অন্তত ৫০ জন চিকিৎসক ও নার্স কোয়ারন্টিনে যেতে চলেছেন।। এমতাবস্থায় রাজ্যসরকার এর বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গ অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক ভালো জায়গায় আছে।