দেশ রাজনৈতিক

বামপন্থী দলগুলোর আহ্বানে মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে সারাদেশের সাথে আসামেও প্রতিবাদ আন্দোলন


সীমা বিশ্বাস, আসাম: চিন্তন নিউজ:২৪শে জুন:— কোভিড অতিমারী যখন জনসাধারণের স্বাস্থ্য এবং জীবন জীবিকার উপর ভয়ঙ্কর সংকট তৈরী করেছে সেই সময় কেন্দ্রের মোদী সরকার দুর্দশাগ্ৰস্ত মানুষের সহায়তার জন্য কোনো জনমুখী নীতি গ্ৰহন করে নাই। বরং ২রা মে তারিখের পর আসাম সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর এপর্যন্ত মোদী সরকার পেট্রোলজাত সামগ্ৰীসমূহের দাম কমপক্ষে ২৭ বার বৃদ্ধি করেছে।ফলে প্রত্যেকটা জিনিসের মূল্যের উপর তার সর্বগ্ৰাসী প্রভাব পড়েছে। দেশে পাইকারি মূল্যসূচক গত ১১বছরের মধ্যে বর্তমানে সর্বাধিক।

গত এপ্রিল মাসে খাদ্য সামগ্রীর মূল্য প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। বুনিয়াদি সামগ্রী সমুহের মূল্য১০.১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির ধারা এখনও উর্ধ্বমুখী হয়ে আছে। সামগ্রী সমুহ খুচরো বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের পাইকারি দামের থেকে খুচরো বাজারে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়। এটা অনস্বীকার্য যে দেশের আর্থিক মন্দাবস্থা, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, জনসাধারণের ক্রমহ্রাসমান ক্রয়ক্ষমতা এবং ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সময়ে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্ৰীর মূল্যই জনসাধারণকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এটা স্পষ্ট যে রাষ্ট্রের পৃষ্টপোষকতাতে অসাধু ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কালোবাজারি এবং মজুতকরণ চলছে। এমনকি মোদী সরকারের আশীর্বাদে ঔষধের অবৈধ মজুতকরণ এবং কালোবাজারি চলছে।

আসামে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার অত্যাবশ্যকীয় সামগ্ৰীর মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সম্পুর্ন নির্বিকার থেকে জনসাধারণকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আশ্চর্যজনকভাবে রাজ্যের খাদ্য এবং অসামরিক যোগান মন্ত্রী মূল্য বৃদ্ধির পক্ষে উদ্ভট যুক্তি তুলে পরিস্থিতি জটিল করে তোলে। এই পরিস্থিতিতে বামপন্থী দলগুলোর‌ আহ্বানে ১৬ থেকে ৩০ জুন মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি চলছে। তাদের উত্থাপন করা দাবি হলো———-১/ পেট্রোল জাত সামগ্ৰীর বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার এবং ঔষধ সহ অত্যাবশ্যকীয় সামগ্ৰীর মূল্য বৃদ্ধি রোধ করা। ২/চাল-ডাল-শষ্যতেল-চিনি-চাপাতা ইত্যাদি খাদ্য সহ প্রতিটি পরিবারের প্রতি জন ব্যক্তির জন্য বিনামূল্যে মাসে ১০কেজি করে খাদ্য শস্য যোগান ধরা। ৩/প্রতি পরিবারকে মাসে ৭৫০০ টাকা নগদ অর্থ ছয় মাস পর্যন্ত প্রদান করা।

উল্লেখ্য- ইতিমধ্যে ২৩ জুন বাম দলগুলো যৌথ উদ্যোগে গুয়াহাটি রাজ্য কেন্দ্রে পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুন সহ কোভিড প্রটোকল মেনে প্রতিবাদ সংগঠিত করে। এছাড়া কয়েকটি জেলা ও অঞ্চলেও প্রতিবাদ সংগঠিত করা হয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।