দেশ বিদেশ

প্রাক বিপ্লব রাজতান্ত্রিক ফ্রান্স ও আজকের গণতান্ত্রিক ভারত


মিতা দত্ত:চিন্তন নিউজ: ৬ইমে :– মনে পড়ছে ফরাসী বিপ্লবের আগে ফান্সের অবস্থা। রাজতন্ত্র ভগ্নদশাগ্রস্ত। জনগণ করভারে জর্জরিত। জনগণ ফুঁসছে। রাজা নিজেকে ঈশ্বরের দূত বললেও সে জানে আসলে তার একটি তাঁবেদার শ্রেণী প্রয়োজন। অভিজাত ও যাজকরা রাজার তাঁবেদার শ্রেণী, যারা শুধু নেয়, দেয় না কিছুই।
ইতিমধ্যেই ফান্সে ব্যবসা বাণিজ্য ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাত ধরে নতুন বুর্জোয়া শ্রেণী উঠে এসেছে, যাদের অর্থ থাকলেও মান নেই। তারা কৃষক, শ্রমিক শ্রেণীকে সংঘটিত করে রাজাকে বলেন দরিদ্রদের করভার লাঘব করে অভিজাতদের করের আওতায় আনতে। রাজা তাঁর মন্ত্রীদের পরামর্শ মতো অভিজাতদের কর দেওয়ার প্রস্তাব দিলে ,অভিজাতরা নাকচ করেন। অভিজাতরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। চাপে অর্থমন্ত্রীদ্বয়কে পদচ্যুত করা হয়। তারপর দ্রুত পট পরিবর্তন হয় ।

ভারতের দিকে তাকালে লক্ষ্য করা যাবে, রেভিনিউ অফিসাররা এই সংকট থেকে বাঁচার রাস্তা বাতলে দিলে মাননীয়র নাপসন্দ। কারণ জনগণের ভোটে আসলেও ওনার ভরসা অভিজাতশ্রেণী ।পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। তাই একদিকে প্রস্তাবকারীরা ওনার শত্রু হয়ে গেলেন আসলে যারা জনগণের মিত্র ,তাদের শাস্তি পেতে হলো।বলি হলো জনগণ। বেশী সমস্যা হলে দেশপ্রেমিক সন্তানরা আছেন, নানাভাবে সামলাবে।

যখন পেট্রোল, ডিজেলের দাম পৃথিবীতে নিম্নমুখী, তখন এদেশে দাম তো কমল না উল্টে সেস বসল। স্বাভাবিকভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। জনগণকে দেবে যা নিঙরাবে তার চেয়ে বেশী।দেশের হাল বেহাল। ওনারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করবেন জনগণের টাকায়।

জনগণ সর্বংসহা। বামপন্থীরা প্রতিবাদ করলে বলা হয় রাজনীতি করছে। জনগণকে বাঁশ দেবার নীতি কিন্তু ওপর থেকে চলেছে।
দেশপ্রেমিকরা বাজাও তালিয়া!


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।