কল্পিতা দে : চিন্তন নিউজ: ৫ই ফেব্রুয়ারি:– পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি যা ১৮ই ডিসেম্বর থেকে বিকাশভবনের সামনে চলছে তার ৫০দিন পেরিয়ে গেলেও সরকার পক্ষ থেকে কোনো দাবি মানা হয়নি বা আলোচনায় বসা হয়নি।
এমতাবস্থায় আজ নবান্ন অভিযান এর ডাক দেওয়া হয়েছিল। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে প্রায় ২০০০০ পার্শ্ব শিক্ষক জমা হন। অনুমতি থাকা সত্ত্বেও পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকে দিলে সেখানেই রাস্তায় বসে স্লোগান দিতে থাকেন।নেতৃত্বের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে জানানো হয় যতক্ষণ না মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে ততক্ষণ পার্শ্ব শিক্ষকরা পথেই বসে থাকবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দুপুর ২.৩০ পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়।
সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো ডাক নবান্ন থেকে আসে নি পার্শ্ব শিক্ষক নেতৃত্বের কাছে। এরপর হঠাৎই বিনা প্ররোচনায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকাদের ওপর। পুলিশের বুটসহ লাথির আঘাতে জ্ঞান হারান উত্তরবঙ্গ থেকে আগত এক পার্শ্ব শিক্ষক। লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত হন বেশ ক’জন পার্শ্ব শিক্ষক। তারা বতর্মানে হসপিটালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সেই সময় পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক মধুমিতা বন্দোপাধ্যায়,ভগীরথ ঘোষ সহ মনোরঞ্জন মন্ডল, চন্দ্রচূড় গাঙ্গুলী, অমল রায়, নিভা মন্ডল, প্রমিতা বাগচি সহ মোট ৭২ জনকে লাল বাজারে বলপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।পরে সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত জামিনে তাদের মুক্ত করা হয়।
এদিকে, বিধান সভায় বাজেট পেশ করার সময় মুখ্যমন্ত্রী পার্শ্ব শিক্ষক খাতে ৩ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট (বাম আমলে ৫% ইনক্রিমেন্ট চালু ছিল যা এই সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল) এবং অবসরকালীন ভাতা ১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ ( ২০১৮ তে এই একই ঘোষণা করা হলেও অবসরপ্রাপ্ত পার্শ্ব শিক্ষকরা সে সুবিধা পান নি) করা হবে বলে ঘোষণা করেন।
পার্শ্ব শিক্ষকদের দীর্ঘ আন্দোলনের মূল দাবি বেতন কাঠামো প্রদান এখনো অধরাই। নেতৃত্ব জানিয়েছে , মূল দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।