বিমল হাজরা: চিন্তন নিউজ:২৮শে মে:– এটা সত্যি মানুষ আমাদের কে খালি হাতে ফিরিয়েছে কিন্তু এই মানুষই মহামারী কালে যখন বিপদগ্ৰস্ত তখন খালি হাতে ফেরানো দলের ছেলে গুলোর শরনাপন্ন হয়ে বলছে…..”আবাসন বা বাড়িটা জীবানুমুক্ত করে দিতে হবে”। অথবা ” যশ ” এর বিশাক্ত ছোবলে যখন সরকারের ঘৃণ্য রাজনীতি,তখন এই সর্বহারার ছেলেগুলো সাধ্যের বাইরে গিয়েও ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে আর্তের আর্তনাদে। এরা রাণার, তাই রাতে ও অক্সিজেন (Oxygen) নিয়ে পৌঁছে যায় রোগীর বাড়ি। কখন ও ঔষধ, কখনও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী , জল, সবই এদের কাছে জলভাত। এইতো আজ সকাল ১১ টা নাগাদ, পাড়ার বংশীদা , নিজের ১৫ বছরের মেয়েকে নিয়ে উন্নততর চিকিৎসার জন্য দিশেহারা, ম্যায় হু না — রেড ভলেনটিয়ার্স এর সদস্যরা তারা নিজের গাড়ি নিয়ে সদর উলুবেড়িয়াতে একটি বেসরকারী হসপিটালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।
কবিগুরুর কথায় “ওরা নবীন,” ” ওরা অবুঝ, ” তাই তো রক্তের প্রয়োজনে নিজেরাই আয়োজন করে ফেলে ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প মহামারীর মরণ বিষে রক্ত মাংসের শরীরের একটাই নাম যখন ” লাশ ” হয়ে যায়, যখন ভঙ্গুর সমাজের মেরুদন্ড হীন আত্মীয়রা ,প্রতিবেশীরা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন সমাজের সব দ্বায়িত্বটা নিজেদের কাঁধে তুলে শেষ যাত্রায় সামিল সেই গর্বের রেড ভলেনটিয়ার্স রা।
এই ভাবেই শ্যামপুরের রেড ভলেন্টিয়ার ক্রমেই বিস্তৃত এলাকা জুড়ে বিস্তার লাভ করছে।মানুষের রায়ে সাময়িক দুঃখ বেদনা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু মানুষের ওপর বিশ্বাস না হারিয়ে বিপদে লালঝান্ডাকেই এরা হাতিয়ার করে নিয়েছে। এরা জানে রক্তের একটাই রঙ, নীল সাদা আথবা গেরুয়া নয়, শুধু লাল। লাল আর লাল।।