বিদেশ

ফিলিপাইনের টাল আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে


স্বাতী শীল, চিন্তন নিউজ, ১৮ জানুয়ারি: ফিলিপাইনের প্রায় দু’ডজন জীবন্ত আগ্নেয়গিরির মধ্যে অন্যতম হলো বিশ্বের ছোট আগ্নেয়গিরি টাল। সম্প্রতি ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার কাছে অবস্থিত এই টাল আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিপাইনস ইনস্টিটিউট অফ ভলকানোলজি এন্ড সিসমোলজি।

গত ১২ জানুয়ারি হঠাৎই আগ্নেয়গিরি থেকে প্রচুর পরিমাণে বাষ্প ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। নিরাপত্তার খাতিরে কর্তৃপক্ষ অতি দ্রুত ওই অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে দেয়। এমনকি নিরাপত্তার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও।

ফিলিপাইনস ইনস্টিটিউট অফ ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি থেকে জানানো হয়েছে যে, আগ্নেয়গিরির বাষ্প ছাই এবং নুড়ি বাতাসে প্রায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। আগ্নেয়গিরি ইনস্টিটিউটের প্রধান রেনাটো সলিডাম-এর মতে তাৎক্ষণিক হতাহতের কোনো খবর পাওয়া না গেলেও কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনের মধ্যেই বিপদজনক বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

সাধারণত আগ্নেয়গিরির সর্বোচ্চ বিপদসীমা ধরা হয় ৫”, সেখানে বিপদের মাত্রা চার নম্বরে পৌঁছেছে বলে ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ আগ্নেয়গিরিতে বিপজ্জনক বিস্ফোরণ চলছে যা বেশ বড় অঞ্চলকে প্রভাবিত করতে পারে।

বার্তা সংস্থা এপি’র সূত্র থেকে জানা গেছে যে, ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হালকা ছাই এর আস্তরণ জমতে শুরু করায় ফিলিপাইন্সের অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিত করেছেন এবং ম্যানিলার বাইরেও ব্যবহৃত বিমানবন্দরে ফ্লাইট গুলোকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগ্নেয়গিরি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে শহরে বিভিন্ন স্থানেও ভারী থেকে হালকা ছাইয়ের আস্তরন পড়ার সংবাদ এসেছে।এই ছড়িয়ে পড়া ছাই থেকে স্বাস্থ্যজনিত ক্ষতির কথা চিন্তা করেই ম্যানিলা ও তার আশেপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

বর্তমানে প্রায় দু’ডজন জীবন্ত আগ্নেয়গিরি বিশিষ্ট ফিলিপাইন শহর, প্রতিবছর প্রায় ২০টি টাইফুন বা ঝড়ের আঘাত সহ্য করে বিশ্বের অন্যতম একটি দুর্যোগ প্রবণ দেশে পর্যবসিত হয়েছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।