কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:১৬ই জুলাই:- আই এম এ চিকিৎসা ব্যবস্থায় চিকিৎসকদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে প্রশাসকদের কাছে রেড অ্যালার্ট জারির দাবি জানায়। রেজিস্ট্রিকৃত তথ্যানুযায়ী এ পর্যন্ত ৯৯ জন চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন কোভিড১৯ এ আক্রান্ত হয়ে। মোট আক্রান্ত চিকিৎসকের সংখ্যা ১৩০২ জন। এর মধ্যে ৭৩ জনের বয়স ৫০ বছরের বেশী, ১৯ জন ছিলেন ৩৫-৫০ বছর বয়সী, বাকী ৭ জন ৩৫ বছরের নীচে ছিলেন। গতকাল চিকিৎসকদের সংগঠন এক বিবৃতিতে জানায়,” কোভিড১৯ এ মৃত্যুর হার যদি কমিয়ে আনতে হয় তবে তা ডাক্তার এবং হাসপাতাল থেকে শুরু করতে হবে।”
ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন গতকাল করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টায় যুক্ত মেডিক্যাল ম্যানদের জন্য একটি ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে এবং এখনও পর্যন্ত ৯৯ জন চিকিৎসকের কোভিডের কাছে পরাজিত হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে সুরক্ষা বাড়ানোর দাবি জানান। আইএমএ ‘র নেতৃত্বে চিকিৎসকগণ এই রোগে আক্রান্ত শত শত ,হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে মাথার ওপর মৃত্যুর খাঁড়া নিয়ে চিকিৎসায় নিয়োজিত। পেশাদারিত্বের কাছে কখনও কখনও হার মানছে তাঁদের জীবন! ন্যুনতম সুরক্ষাও কোনো সময় অনিশ্চিত। চিকিৎসকদের জীবন সুনিশ্চিত করতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হাসপাতালগুলোতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্যানিটাইজিং করতে হবে। হাসপাতালে পরিকাঠামোর তীব্র অভাব, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের উপযুক্ত মাস্ক, পিপিই সহ যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোনো ফাঁকফোকর রাখা চলবে না। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এক সুদৃঢ় সৌভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরী।
তথ্য অনুযায়ী নবীন ও প্রবীণ চিকিৎসকরা সংক্রমিত হলেও বয়স্কদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যুর হার বেশি। হাসপাতালের রীতিনীতি ও শৃঙ্খলা মেনে চলার ওপর জোর দিতে হবে। আইএমএ’র রাজেন শর্মা বলেছেন, “মহামারীবিরোধী লড়াইয়ে চিকিৎসকরা সমগ্ৰ জাতির কাছে জীবনের দূত, আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছেন তবে ডাক্তারদের মধ্যে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু অত্যন্ত উদ্বেগজনক। চিকিৎসকদের নেতৃত্বে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে রোগের মোকাবিলা করা আইএমএ জোরালোভাবে সমর্থন করে। চিকিৎসকরা উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ভার মাথায় নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সুতরাং তাঁদের সহকারী নার্স,অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এবং সর্বোপরি তাঁদের পরিবার পরিজনের কথা মনে রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অবশ্য কর্তব্য।”
তিনি আরও বলেন অপারেশন থিয়েটার, লেবার রুম, ল্যাবরেটরির বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। এছাড়া আইসিইউ ও সিসিইউকে সর্বাধুনিক করে গড়ে তুলতে হবে।