নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:১৮ই সেপ্টেম্বর: -উদ্বিগ্নে রয়েছেন ছিটমহল বাসীরা। ইতিউতি জটলা চলছে। বারবার ভোটার কার্ড,রেশন কার্ড দেখছেন আবার যত্ন করে রেখে দিচ্ছেন। মনের শঙ্কা দূর হচ্ছে না। অসমের নাগরিকপঞ্জি বেরোনোর পর থেকেই এরকম আশঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন ছিটমহল বাসিন্দারা।
সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দা নাসিমা বিবাহসূত্রে অসমের বাসিন্দা এখন। নাগরিক পঞ্জি থেকে বাদ পড়েছে নাসিমার নাম।কিন্তু নাসিমা তো ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছিল। এখন সে দেশহীন।
সাবেক ছিটমহলের মশালডাঙার বাসিন্দা নাসিমার বাবা নওসর আলি,নাসিমার ভাই সাদ্দাম আলি এখন আতঙ্কে ভুগছে। নাসিমাকেও তো ভারত সরকার ভোটার কার্ড,রেশন কার্ড, আধার কার্ড, সব দিয়েছিল, তাহলে কি ছিটমহলবাসী আবার দেশহীন হবে?
কখনও তারা নিজেদের সান্ত্বনা দিচ্ছে ,সরকার তাদের নাগরিকত্ব দিয়ে নিশ্চয়ই কেড়ে নেবেন না। পোয়াতুর কুঠির বাসিন্দা প্রবীণ মনসুর আলী, যুবক সাদ্দাম গাজী সবাই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। অনেক কষ্টে পাওয়া নাগরিকত্ব হারানোর ভয় কুঁড়ে খাচ্ছে তাদের। বাংলার ছিটমহল বাসিন্দা যেসব মেয়ের বিয়ে হয়েছে অসমে, তাদের কারও নাম নাগরিকপঞ্জিতে ওঠেনি। বাংলায় নাগরিক পঞ্জি হ’লে কি হবে ৫১টি ছিটমহলের বাসিন্দাদের?
নাগরিক পঞ্জির আশঙ্কায় শুধু ছিটমহলবাসীরাই নয়, আতঙ্ক ও ক্ষোভ সঞ্চারিত হচ্ছে কোচবিহার জেলার রাজবংশীদের মধ্যে। অসমের ভূমিপুত্র কোচ রাজবংশীদের যেভাবে নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, এ রাজ্যে লাগু হ’লে কি হবে রাজবংশীদের পরিণতি ,এই প্রশ্ন কুঁড়ে খাচ্ছে কোচবিহারের রাজবংশীদের। কোচবিহার জেলায় রাজবংশী সম্প্রদায়ের আধিক্য বেশী।
অসম রাজ্যকে দেখে ক্ষোভ, আতঙ্ক অবশ্যই বিদ্রোহের জন্ম দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে, এমনকি দেশজুড়ে।