নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:১লা অক্টোবর:-মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায় গঙ্গার জল বিপদসীমার ওপরে ওঠায় সবক’টি লক গেট খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হ’ল না। ফারাক্কায় গঙ্গার জলের তোড়ে ভেঙে গেল রাস্তা৷ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গ যোগাযোগ৷ ফরাক্কায় ৮০ নম্বর জাতীয় সড়ক জলমগ্ন৷
মঙ্গলবার ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় বিপত্তি বাড়ে৷ জল ঢুকে গিয়েছে খোদাবন্দপুর, সাঁকোপাড়ায়৷ জলের তলায় মমরেজ-সহ একাধিক এলাকা৷ যে সব ঘরবাড়ি এখনো ভেঙে যায় নি, সেইসব পরিবারও প্রাণে বাঁচতে ঘর ছাড়ছে।
পুজোর মুখে বন্যা-বিষাদ ফরাক্কার বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ গঙ্গার আগ্রাসনে ইতিমধ্যেই তলিয়ে গিয়েছে প্রায় ১০০টি বাড়ি৷ গঙ্গার জলের তলায় চাষের জমিও৷ মুর্শিদাবাদের শেষ প্রান্তে গঙ্গার কোল ঘেঁষে চর হোসেনপুরে গত একমাস ধরে গঙ্গার বুকে তলিয়ে গিয়েছে বাড়ি, চাষের জমি।
ফুঁসছে গঙ্গা। ভিটেমাটি হারিয়ে দিন কাটাচ্ছেন কয়েকশো মানুষ। ফরাক্কায় চর হোসেনপুরের ভাঙন ছড়াচ্ছে আরও বড় এলাকায়। ভাঙন রুখতে ফেলা বোল্ডার নদীর তোড়ে ভেসে গিয়েছে। আবার অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের নদী ভাঙনে প্লাবিত এলাকার বিভিন্ন গ্রাম।তুঁত চাষে বড়সড় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা। নদীভাঙন মুর্শিদাবাদের এক বড় সমস্যা। অনুন্নত মুর্শিদাবাদ এমনিতেই পিছিয়ে রয়েছে।তার ওপর নিত্য দিনের এই ঘরহারাদের আর্তনাদ।
দীর্ঘমেয়াদি ভাবে ভাঙন রুখতে তা হলে কী কাজ করলেন ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ? উঠছে প্রশ্ন৷ কবে হবে স্থায়ী সমাধান ?ভাঙন প্রতিরোধ??