রাজ্য

গঙ্গাপারের ভাঙ্গনে বিপদে ভুতনিচরের মানুষ


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ৪ জুন: রোজই প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে নানারকম উন্নয়নের কথা বলে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার মধ্যে নদীঘেরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা নিয়ে। প্রতিবছর বর্ষায় নদী পাড়ের ভাঙনে বহু মানুষ এর বাড়ীঘর, চাষের জমি, গবাদি পশু বন্যার জলে ভেসে যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নদীবাঁধ নির্মাণ নিয়ে তাঁর কথামতো সঠিক কাজের বার্তা দিয়েছেন। তাঁর বার্তা শুনে নদী ভাঙন রোধের কাজে দূর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব মালদার ভূতনি চরের মানুষ। তাদের বক্তব্য কাজ ঠিকমত না হলে ঐ চরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কাতে ভুগছেন মানুষ গুলো।

সুত্রের খবর অনুযায়ী, মালদার ভুতনিচড়ে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষাধিক লোকের বাস। তাদের প্রধান সমস্যা হলো গঙ্গা নদীর পাড়ের ভাঙন। বিগত বছরগুলোতে গঙ্গা পাড়ের এই ভাঙনে বহু মানুষ এর বাড়ীঘর গঙ্গাবক্ষে ডুবে গেছে। আর এই ডুবতে ডুবতে ভূতনীচড় ছোট হতে হতে অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে। বর্তমান হীরানন্দপুর এলাকায় ৫৫০ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন রোধে বালির বস্তা ফেলার কাজ শুরু করেছে খবর সেচ দপ্তর।এতে খরচ হবে প্রায় ছয় কোটি টাকা। কিন্তু তা নিয়েও উঠেছে ভূরিভূরি অভিযোগ।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের। ঠিকাদার সংস্থা এবং স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাদের উস্কানিতে কাজ একদমই ঠিকমতো হচ্ছে না। স্থানীয় লোকজনের দাবী অবিলম্বে এই বালির বস্তা ফেলা বন্ধ করে বোল্ডার পিচিং করে স্থায়ীভাবে সমাধান করা হোক এবং ভুতনী চড়কে রক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। এ বিষয়ে সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্থায়ী ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। কাজেই ভুতনী চড়ের মানুষ এর দূর্ভোগ চলতেই থাকবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।