জেলা

পূর্ব বর্ধমান জেলার খবর


সোনালী দত্ত দাঁ, চিন্তন নিউজ: “করোনা যুদ্ধে আমরা জিতব”, এই স্লোগানকে সামনে রেখে ক্রমাগত লড়াই করে যাচ্ছে রেড ভলান্টীয়ার্স নামে মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়া তরতাজা একঝাঁক মুখ। ভারতের ছাত্র ফেডারেশন পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি পি পি ই কিট, হ্যান্ড স‍্যানিটাইজার সহ কোভিড নিরাপত্তা সংক্রান্ত জিনিসপত্র তুলে দেয় পূর্বস্থলী রেড ভলান্টীয়ারদের হাতে। উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী ও সভাপতি বিশ্বরূপ হাজরা।

পিন্ডিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিপুর গ্রামে করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধার শ্বাসকষ্ট হলে রেড ভলান্টীয়ার্সদের খবর দিলে তারা কালনা থেকে অক্সিজেন এনে বৃদ্ধাকে দেয়। ঐ বৃদ্ধার বাড়ী স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি তারা নারী নেতাজী সঙ্ঘ, যেখানে বাচ্চাদের পড়ানো হয় সেখানেও স্যানিটাইজ করে। এভাবেই বর্ধমান সদর ১ রেড ভলান্টীয়ার্স বাহিনী করোনা আক্রান্তদের বাড়ীর পাশাপাশি তৎসংলগ্ন অঞ্চলেও স্যানিটাইজেশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সুদপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সুদপুর সমবায় সমিতি স্যানিটাইজ করে কাটোয়া১ রেড ভলান্টীয়ার্স। কেতুগ্রাম ১নং ব্লকের খাজী গ্রামের করোনা আক্রান্ত মহিলার শ্বাসকষ্টের কথা তার ছেলে রেড ভলান্টীয়ারদের জানালে তারা তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছে অক্সিজেন লেভেল মেপে অক্সিজেন সিলিন্ডার সেট করে।

ধাত্রীগ্রাম ছোলার মাঠ, দেবনাথ পাড়া, ধাত্রীগ্রাম লাইব্রেরী ও তার পার্শ্ববর্তী স্থান স্যানিটাইজ করল ধাত্রীগ্রাম রেড ভলান্টীয়াররা। পিয়ারীনগরের করোনা আক্রান্ত অমিত রায়কে প্রায় একঘরে করে রাখে এলাকার মানুষ। অমিত রায়ের বাড়ীতে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে তাদের পরিবারের পাশে ভবিষ্যতে যে কোনো প্রকার সাহায্য ও পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয় রেড ভলান্টীয়ার্স।

রেড ভলান্টীয়ারদের কাজকে স্বীকৃতি জানিয়ে তাদের পাশে বিভিন্নভাবে এগিয়ে আসছেন মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি ৫ই জুন তার ছেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বেলকুলি মোড় সংলগ্ন খাসপাড়া এলাকার ১৫০জন দুঃস্থ মানুষের মধ্যাহ্নভোজনের সমস্ত খরচ দেবেন জানান। ধাত্রীগ্রাম রেড ভলান্টীয়ার্সদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে উদার ও মহানুভবতার পরিচয় দেন উদয়শংকর বসাক, মানস পোদ্দার প্রমুখ ব্যক্তিরা। মাননীয় ড. সলিল চট্টোপাধ্যায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য ১১০০০ টাকা রেড ভলান্টীয়ারদের হাতে তুলে দেন।

কালনা ২ সেনেরডাঙ্গা বাজার ও সাতগাছিয়া অঞ্চলের হাঁসপুকুর গ্রামে করোনা আক্রান্তের বাড়ী ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্যানিটাইজ করে কর্মীরা।

কালনার শ্যামরায় পাড়ার বাসিন্দা কোভিড আক্রান্ত রাজু সাধুখাঁ ও তার মা। তারা ঐ এলাকার রেড ভলান্টীয়ার্সদের ফোন করলে জনা মুখার্জ্জী, রাজ ও অয়ন গোস্বামী সঙ্গে সঙ্গে পৌছায় এবং ড. গৌরাঙ্গ গোস্বামীর পরামর্শ মতো তাদের ওষুধ এনে প্রয়োজনে পুনরায় আসার এবং যথাসাধ্য সাহায্য করার আশ্বাস দেয়।

কালনা শ্যামলাল পাড়ার বৃদ্ধা নয়নতারা সাহা পুনরায় অসুস্থবোধ করলে ঐ জোনের রেড ভলান্টীয়ার্সরা কালনা হাসপাতালে কোভিড টেষ্ট করায় এবং রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাকে কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।