জেলা

আজকের হুগলি বার্তাঃ-


চিন্তন নিউজঃ- ৪ঠা ডিসেম্বর:- শান্তনু বোসঃ-হুগলী চুঁচুড়া বইমেলাঃ হুগলী চুঁচুড়া শহরের সাংস্কৃতিক মুকুটে উজ্জ্বল পালক। বইমেলায় আচ্ছন্ন হুগলী চুঁচুড়া শহর। শহরবাসীর কাছে এই বইমেলা বারোমাসের চোদ্দ পার্বন। শহরজুড়ে বইমেলার পোস্টার আর হোর্ডিং। তেরো তম বছরের হুগলী চুঁচুড়া বইমেলা শুরু হতে চলেছে ১১ই ডিসেম্বর, চলবে ১৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। বইমেলাকে কেন্দ্র করে চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী পদযাত্রা ” বইয়ের জন্য হাঁটুন” অনুষ্ঠিত হবে ১০ই ডিসেম্বর। ১১ই ডিসেম্বর বইমেলার উদ্বোধক করবেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব রুদ্র প্রসাদ সেনগুপ্ত। অতিথি হিসেবে থাকছেন পাবলিসার্স এন্ড বুকসেলার গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য এবং এইসময়ের অন্যতম বিশিষ্ট সাহিত্যিক শ্রীমতি দেবারতি মুখোপাধ্যায়। হুগলী চুঁচুড়া শহরের নানাবিধ সংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্য বহনকারী হুগলী চুঁচুড়া বইমেলাকে কেন্দ্র করে শহরের সব সাংস্কৃতিক সংস্থাই তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে, বইমেলার ক’টাদিন মেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চে তাদের উপস্থাপনা উজার করে দিতে। নাচ, গান, আবৃত্তি, আলেখ্য নিয়ে জমজমাট হয়ে উঠবে বইমেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চ। মোট ১১৩ টি সাংস্কৃতিক সংস্থা অংশ নেবে বইমেলার মঞ্চে। সেই সাথে থাকবে বিভিন্ন বিষয়ে সেমিনার।প্রয়াত বুদ্ধদেব গুহর নামাঙ্কিত সভা ঘরে রমেন্দ্র কুমার আচার্য চৌধুরী জন্মশতবর্ষ মঞ্চে এই সেমিনার গুলি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বইমেলার মূল প্রবেশ পথ হাসান আজিজুল হক নামে উৎসর্গ করা হয়েছে, আর্ট গ্যালারি উৎসর্গ করা হয়েছে বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত স্মরণে এবং লিটল ম্যাগাজিন প্যভিলিয়নটি উৎসর্গ করা হয়েছে কবি শঙ্খ ঘোষ স্মরণে।
এবার মেলার বানিজ্যিক দিকটিতে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। গতবছর কোভিড পরিস্থিতিতেও এই মেলায় বই বিক্রি অর্থমূল্য ছিল সতেরো লাখের ওপর। ছোটো-বড় মিলিয়ে স্টলের সংখ্যা ছিল পঁয়তাল্লিশটি। এবছর বুকসেলার এবং পাবলিশার্সদের চাহিদা অনুযায়ী স্টলের সংখ্যা করা হয়েছে মোট সত্তরটি। সমস্ত নামকরা পাবলিশার্স মেলায় উপস্থিত থাকছে। মফস্বল শহরের এই বইমেলা শুরু হওয়ার দশদিন আগেই তাদের স্টল বুকিং বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী হুগলী চুঁচুড়া বইমেলা মঞ্চে বিভিন্ন লেখকের মোট পঁচিশ বই প্রকাশিত হতে চলেছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার ভাবনায় হুগলী চুঁচুড়া বইমেলা এবং সমকাল ও বিবৃতি পত্রিকা দীর্ঘ দিন ধরে শহরের দুস্থ মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের অনিল বসু ও বিজয় মোদক মেধা বৃত্তি প্রদান করে আসছে। পঞ্চাশেরও বেশি ছাত্র ছাত্রী চব্বিশশো টাকা অর্থমূল্যের এই মেধা বৃত্তি বইমেলা প্রাঙ্গন থেকে গ্রহন করে থাকে। হুগলী চুঁচুড়া বইমেলার অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক শ্রী গোপাল চাকী জানাচ্ছেন, এবছরের বইমেলা বানিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক সাফল্যের নিরিখে অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে। এই শহরের মানুষের সার্বিক সহযোগিতা এবং মেলার সংগঠকদের প্রচেষ্ঠার ফলেই এই সাফল্য আসতে চলেছে।

গোপাল চাকীঃ-আগামী ১১ ই ডিসেম্বর, বিকাল ৪ টায় ১৩তম হুগলী-চুঁচুড়া বই মেলা র উদ্বোধনী মঞ্চে প্রকাশিত হচ্ছে ‘সমকাল ও বিবৃতি’র গ্রীষ্ম-বর্ষা ও বইমেলা একত্রিত সংখ্যা ৷ শতাধিক লেখকের সৃষ্টিদ্বারা সমৃদ্ধ প্রায় তিনশ পাতার এই পত্রিকাটি অতীতের মত এবারও সকলের ভালোবাসা পাবে এই প্রত্যাশা ।

দেবারতি বাসুলীঃ- ডানকুনি পৌরসভার বই মেলার অফিসে আজ অনুষ্ঠিত হলো পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের ডানকুনি শাখার বার্ষিক বিজ্ঞান সম্মেলন। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যবৃন্দ।

সি পি আই এম হুগলী জেলা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চন্ডীতলা -১ নং এরিয়া কমিটির উদ্দ্যোগে দেওয়াল লিখন ।

আজ সি.পি.আই.( এম) খানাকুল-১ এরিয়া কমিটির উদ্যোগে ঘোষপুর রামপ্রসাদ পাটি অফিসের সন্নিকটে প্রয়াত কমরেড ইসলাম আলি খানের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন সি.পি.আই.(এম) হুগলি জেলা কমিটির নেতা তথা খানাকুল ১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক কমরেড ভজহরি ভূঞ্য1 উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য কমিটির সদস্য কমরেড দেবব্রত ঘোষ । জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কমরেড ভাস্কর রায়, কমরেড মোজ্জাম্মেল হোসেন, জেলা কমিটির সদস্য কমরেড অভয় ঘোষ, শক্তিমোহন মালিক,সমীর চক্রবর্তী,পূণেন্দু চ্যাটার্জি,ফারুক আহমেদ লস্কর। উপস্থিত ছিলেন ইসলাম আলি খানের স্ত্রী– মমতাজ বেগম সহ পরিবারের একমাত্র পুত্র মোবারক খান,পুএবধূ ,জামাতা কন্যা, নাতি নাতনিরা। প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও শোকপ্রস্তাবের মধ্যে দিয়ে স্মরণসভা শুরু হয়। বক্তব্য রাখেন কমরেড কাজল ঘোষাল, মোবারক খান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন দেবব্রত ঘোষ ।অগণিত মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন।

জয়দেব ঘোষঃ-উত্তরপাড়া-রিষড়া জোনাল তৃতীয় সম্মেলন আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে উত্তমা সুন্দরী দেবী প্রাথমিকে।উপস্থিত আছেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মোহনদাস পন্ডিত,জেলা সম্পাদক কমল মল্লিক,রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যা মানসী চক্রবর্তী,জেলা কোষাধ্যক্ষ অসীম কুমার পাল, হবিবুর রহমান,নরেন দে, সোমনাথ চক্রবর্তী,কাকলি বিশ্বাস, জয়দেব ঘোষ সহ জেলা নেতৃবৃন্দ।

উত্তরপাড়া শালিমার কারখানার শ্রমিক নেতা কমরেড শিবেন আচার্য গতকাল সন্ধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। একসময় তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) শালিমার কারখানা ব্রাঞ্চের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শালিমার কারখানার সি আই টি ইউ অনুমোদিত ইউনিয়নের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। শারীরিক কারণে শেষ কয়েক বছর তিনি আর পার্টি সদস্য ছিলেন না, তবে আজীবন পার্টির ঘনিষ্ঠ দরদী ও সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।…প্রয়াত কমরেড শিবেন আচার্য লাল সেলাম।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।