জেলা

জলপাইগুড়ি জেলার আংশিক খবর


দীপশুভ্র সান্যাল: চিন্তন নিউজ:২৭শে নভেম্বর:– পশ্চিমবঙ্গ সেটেলমেন্ট কর্মচারী সমিতির জলপাইগুড়ি জেলা শাখার ৬২-৬৩ তম জেলা সম্মেলন আজ কর্মচারী ভবনে কমঃ সুধেন্দু মজুমদার মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রাক্কালে রক্ত পতাকা মন্ডিত বর্ণাঢ্য মিছিল শহরের একাংশ পরিক্রমা করে। রক্ত পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্য দানের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সুচনা হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক মনোজিৎ দাস। উদ্বোধক তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাজে ও নীতির তীব্র সমালোচনা করে বলেন যে করোনা অতিমারীর সময়কালে উভয় সরকারই জীবন জীবিকার প্রশ্নে মানুষের পাশে দাঁড়ায় নি। বামপন্থী সংগঠন সমূহ সহ রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে শ্রমিক কর্মচারী সহ গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াবার। তাছাড়া এইসময়কালে কেন্দ্রীয় সরকার শ্রমিক কর্মচারী বিরোধী নীতি গ্রহণ করে শ্রম কোড পরিবর্তনের নামে শ্রমিকের অধিকার হরণ করতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েই আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনার লক্ষ্যেই এই সম্মেলন থেকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন
কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন শেখর সমাদ্দার, যুগ্ম সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি, সোমরাজ চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য। সম্মেলন থেকে আগামী সময়কালে জন্য অভিজিৎ নাগকে সভাপতি এবং জয়ন্ত রায়কে সম্পাদক করে ১৩ জনের সম্পাদকমন্ডলী এবং ২১ জনের জেলা কমিটি গঠিত হয়।

সঞ্জিত দে ধূপগুড়ি ২৭ নভেম্বর -” ভগৎ সিং দেশ রক্ষার নারা তুলেছিল আমরা তার উত্তরসূরী। ভাজপা দেশ বিক্রি করার গভীর ষড়যন্ত্র করেছে।কর্পোরেট মালিকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এই দল চলছে।এ-ই কাজ শুরু করেছে কৃষক হত্যার পরিকল্পনা করে।কৃষি আইন করে।জান থাকতে আমরা এটা মেনে নেব না।পাঞ্জাব হরিয়ানা উত্তর প্রদেশ থেকে মুছে দেব ভাজপা কে।”গভীর আত্মবিশ্বাস আর উদ্দীপনা নিয়ে কথাগুলি বললেন পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার দুই কৃষক মনদীপ সিং ও পরমিন্দার সিং।দুজনেই দিল্লির সিঙ্ঘু এবং টিকরি সীমান্তে লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন ছয় মাসের বেশি সময়।এখন আলু বীজের লরি নিয়ে এসেছেন ধূপগুড়িতে রবিবার ফিরে যাবেন।শনিবার সন্ধ্যায় যখন শহরের বুকে প্রদীপ প্রজ্বলন কর্মসূচি হচ্ছিল সে সময়ে এই দু জন লরি রেখে এসে যোগ দেন এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এখানে সবাই উৎসাহী হয়ে ওঠেন তাদের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা জানতে।দুজনেই বলেন, তারা নিজে হাতে চাষাবাদ করেন বাকি সময়ে নিজেদের লরি নিয়ে আলুর কাজে থাকেন।পরমিন্দার এবং মনদীপ বলেন অনেক রাজনৈতিক দল দেখা কিন্তু তাদের ভোল বদলও দেখা হয়েছে। লাল ঝান্ডার মানুষদের সঠিক ভাবনার মানুষ বলে শ্রদ্ধা করেন তারা।।

প্রসঙ্গতশনিবার সন্ধ্যায় ধূপপগুড়িতে কৃষক সভার পৌরঅঞ্চল কমিটির উদ্যোগে শহিদ কৃষকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সাত শত প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। কৃষক খেত মজুর শ্রমিক ছাত্র যুব মহিলা শিক্ষক সব সংগঠন এই কর্মসূচিতে সামিল হয়।কৃষক নেতৃত্ব মনোজ ঘোষ প্রানগোপাল ভাওয়াল জয়ন্ত মজুমদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। গাদং ক্লাবমোর সহ আরও কয়েকটি গ্রামে এই কর্মসূচি পালিত হয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।