রাজ্য

ভেঙে পড়লো জলাধার, প্রশ্ন রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ২১ জুন: অন্ডালের কজোরা এরিয়ার পরাশকোল কোলিয়ারি এলাকা অন্ডালে ই সি এল এর উচ্চ জলাধার শনিবার মাঝরাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো। এই অঞ্চল দিয়ে বহু মানুষের যাতায়াত, কিন্তু মাঝরাতে ভাঙার জন্য প্রানহানির কোন খবর পাওয়া যায়নি। এলাকায় জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। কিন্তু কতৃপক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ না করার অভিযোগ মানতে চায়নি। জলের অভাব মেটাতে বিকল্প ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান এরিয়া কতৃপক্ষ।

ই সি এল সুত্রের খবর অনুযায়ী এই জলাধারে ২ লক্ষ ২২ গ্যালন জল ধরতো। এই জলাধার থেকে অফিসার্স কলোনী, পরাশকোল এলাকার কিছু অংশ, পরাশকোল ডাঙায় জল সরবরাহ করা হতো। এই জলের উপরই নির্ভরশীল ছিলেন এলাকার জনগণ। সিটু নেতা জয়ন্ত রায়ের অভিযোগ বহু বছর এই জলাধারের কোন রকম রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। আর তার ফলে জলাধারটি একেবারে জীর্ন হয়ে পড়েছিল। শ্রমিক সংগঠন গুলো বারবার বলা স্বত্ত্বেও ই সি এল কতৃপক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ এর কোন ব্যবস্থা করে নি।

এই জলাধারটি পরাশকোল – বহুলা সংযোগকারী রাস্তা থেকে ১০০ মিটার দূরে থাকলেও অফিসার্স কলোনী ও পরাশকোল কলোনী থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত ছিল। রাতে না ভেঙে এই জলাধার যদি সকালে ভাঙতো তবে বহু মানুষ এর প্রানহানি ঘটতো। স্থানীয় বাসিন্দা কানাইয়া চৌহ্বান পরিষ্কার করে জানিয়েছেন জলাধারটি প্রায় দশ – এগারো বছর ধরে রক্ষাণাবেক্ষণ হয় না এবং কোন নিরাপত্তা রক্ষীও নেই। জল শোধনাগারে একজন থাকে, তবে রাতের বেলা সেও থাকেনা। জলাধার ভেঙে পড়ার ফলে শোধনাগারের পিলার গুলো সাংঘাতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কাজোড়া এরিয়ার পার্সোনাল ম্যানেজারের কথায় জলাধার রক্ষণাবেক্ষণ হয়। আর তাছাড়া এটি ভেঙে নতুন জলাধার তৈরীর পরিকল্পনা ছিল, তার আগেই এই জলাধারটি ভেঙে পড়লো। তবে রাতের বেলা ভেঙেছে বলে কোন প্রানহানি ঘটে নি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।