দেশ

গালোয়ানের যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে আজও ভারতীয় জনগনের প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।


কল্পনা গুপ্ত, চিন্তন নিউজ, ২১শে জুন: ২০২১ সালের ২১শে জুন ভারত-চীন সীমান্তে যুদ্ধের এক বছর পূর্তি হলো মানুষের অনেক কেন, কিন্তু, যদির প্রশ্ন ও সংশয় নিয়ে। সেই ১৯৬২ সালে চীন- ভারতের যুদ্ধের পরে গতবছর এই দিনে গালোয়ানে ভারত চীন এত্তোবড়ো সংঘর্ষে লিপ্ত হলো। এত্তোবড় যুদ্ধ কিন্তু ভারতের জনগন তার সম্বন্ধে ভালো করে জানতেই পারলো না।

কি যুদ্ধ! কি যুদ্ধ! মানুষ জানতে পারলো না ভারতের কোন পদক্ষেপের ফসল এই যুদ্ধ, শত্রুপক্ষ ঠিক কোথা দিয়ে কিভাবে ভারতে ঢুকলো, কেন ঢুকলো। যুদ্ধে নাকি ভারত সফল হলো! কিভাবে হলো? চীনের সামরিক প্রস্তুতি কি ভারতের থেকে দুর্বল? চীন অধিকৃত ভারত ভূমি কি ফিরে পাওয়া গেলো নাকি তা চীন অধিকৃতই হয় নি! অন্যদিকে চীন যদি অধিকার করে থাকে তবে কি ভারত সেই সীমান্ত থেকে পিছিয়ে এলো। এরকম হাজারো প্রশ্ন দানা বাঁধছে ভারতবাসীর মনে।

এহেন হাজারো প্রশ্নের বোঝা বুকে বহন করেও বিরোধীরা তা প্রকাশ করেনি পাছে ভারত সরকারের যুদ্ধে মনোনিবেশে বিঘ্ন ঘটে। বিপদের দিনে সরকারকে বিব্রত করা ঠিক নয়। তাই এইসব নানান ধাঁধাঁর উত্তর সমাধানই হলো না, অমীমাংসিত রয়ে গেলো জনগনের মনে। অথচ সত্য ঘটনা জানতে চাওয়া নাগরিকের অধিকার। সেই সময়ে রাহুল গান্ধী একাধিকবার তথ্যপ্রমাণ দাবী করেছেন।

কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী গালোয়ান যুদ্ধের এক বৎসর পূর্তিতে জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সময় জানান, গত বছরের ১৫ই জুনের সংঘর্ষ সম্পর্কে দেশবাসী এখনও অন্ধকারে। এতোবড় দেশের বিরাট জনগনকে এভাবে অন্ধকারে রাখার কোন গণতান্ত্রিক অধিকার রাষ্ট্রের আছে কি! জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকার জনগনের অর্থে যুদ্ধ চালনা করবার সময়ে তার ভোটদাতাদের কাছে স্বচ্ছ তথ্য দিতে বিরত থাকতে পারে কি?

আসলে যা ঘটছিলো সীমান্তে তা প্রকাশ করা মোদী সরকারের পক্ষে ছিলো সমস্যাজনক। অথচ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিষয়টি সমস্ত কিছুর ওপরে, তাতে সরকারের সত্য প্রকাশের সমস্যা থাকলেও সত্যকে চেপে রাখা অবশ্যই অপরাধ। নাহলে শেষ অবধি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ভিত্তিটাই হয়ে পড়বে দুর্বল।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।