রাজ্য

সরকার বাস মিনিবাসের হুকুম দখল করার কথা ঘোষণা করায় ক্ষুব্ধ বাসমালিক সংগঠনের প্রতিবাদ – আন্দোলনের বার্তা


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১লা জুলাই:– পুরো বিশ্বের সাথে ভারতবর্ষ এবং তার রাজ্য গুলোর বিপর্যস্ত অবস্থা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আর তার জেরে লকডাউন পরিস্থিতিতে। বহুদিন অফিস থেকে শুরু করে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এখন কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা মতো লকডাউন_১ পেরিয়ে ভারতবর্ষ লকডাউন ২ তে পা রেখেছে।বেসরকারি অফিস থেকে সরকারি অফিস, পৌরসভা ইত্যাদি প্রায় সব প্রতিষ্ঠান খুলে গিয়েছে। এবার প্রশ্ন জনগণের বিভিন্ন স্থানে কাজে যাওয়ার জন্য দরকার গন পরিবহনের। আর সেটা চালু করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারের ল্যাজে গোবরে দশা। মানুষের ভীড় সামলাতে পারছে না। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা দূর অস্ত। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ওষুধ এখন আবিষ্কার করা হয়নি তাই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায়।

একেকটা বাসে ঠেসাঠেসি করে লোক উঠছে কারণ অফিস যেতেই হবে না হলে সরকার আবার ব্যবস্থা গ্রহন করবে। সরকার বাস মিনিবাসের হুকুম দখল করার কথা ঘোষণা করেছেন।। বাস গুলোর দখল নিয়ে সরকারি ড্রাইভার দিয়ে সেই বাস চালানোর কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে বাস মিনিবাস মালিক দের হুমকির মুখে পড়তে হলো সেখানে মিষ্টিমধুর চিঠি গেল রেলদপ্তরে যাতে অন্তত কিছু মেট্রো চালানোর ব্যবস্থা করে অবস্থা সামাল দেওয়া যায়।।

মুখ্যমন্ত্রীর এই হুমকির পর বাসমালিকদের সংগঠন একটুও পিছু না হটে সরাসরি সরকার কে চ্যালেঞ্জ করে বলে শুধু কলকাতা কেন প্রতিটা জেলার বাসের দায়িত্ব সরকার নিয়ে নিক। বাসমালিকদের সংগঠন জানিয়েছেন যদি বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হুকুমদখল এর আইন থাকে তবে সংগঠন গুলোও আইন ঘেঁটে দেখবে এমতাবস্থায় তাদের জন্য আইনে কি বলা আছে?

এর প্রেক্ষিতে সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড অনাদি সাহু বলেন সরকার যদি গায়ের জোরে বাস মিনিবাস মালিকদের বাস কেড়ে নিয়ে নিজস্ব ড্রাইভার দিয়ে চালানো কথা ভাবে তাহলে তা বেশীদিন করতে পারবে না বরঞ্চ বাস মিনিবাস চালাতে না পেরে রাজ্যসরকার এর মুখ পুড়বে।অনাদি সাহু আরও বলেন জেদ না খাটিয়ে অবিলম্বে বাস মিনিবাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যা থেকে পরিবহন সচল রাখতে একটা দীর্ঘমেয়াদি মীমাংসা করতে পারা যায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।