দেশ

কাশ্মীর যাওয়া আটকে দেওয়া হ’ল কেন্দ্রের বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের।


নিউজ ডেস্ক: চিন্তন নিউজ:২৪শে আগস্ট :–জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের এই দুর্দশার সময়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য শনিবার শ্রীনগর যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা। তাঁদের কাশ্মীর সফরের কর্মসূচির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রের মোদী সরকার।
সূত্রের খবর রাহুল গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজাসহ বিরোধী দলগুলির ১১জন নেতা কাশ্মীর সফরের প্রাক্কালে তাঁদের যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলো কেন্দ্রীয় প্রশাসন।

বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাশ্মীর সফরের কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে জম্মু ও কাশ্মীরের তথ্য ও জনসংযোগ দফতর টুইট করে জানিয়েছে যে রাজনৈতিক নেতাদের এই মুহুর্তে “শ্রীনগর সফর না করাই উচিত, কারণ তাঁদের কাশ্মীর সফরের কর্মসূচি জনসাধারণের অসুবিধা সৃষ্টি করবে, যখন সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে সীমান্ত সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদীদের হামলা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।”

শনিবার সকালে দিল্লির বিমানবন্দর থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় সংবাদ সংস্থাকে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ জানান, “সরকার বলছে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তাহলে তাঁরা বিরোধীদের যেতে দিচ্ছে না কেন? বিরোধী নেতৃত্ব সকলেই দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী। তাঁরা কোনও আইন ভাঙতে যাচ্ছেন না। প্রায় ২০ দিন সেখানকার কোনও খবর নেই। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিকই হয় তবে কেন অন্য রাজনৈতিক দলকে সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না?”

শুক্রবারই ঘোষণা করা হয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের কাশ্মীর সফরের কর্মসূচি। শনিবার দুপুর নাগাদ দিল্লি থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হতে চান তাঁরা। এই সফরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সিপিআই(এম)’র সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই’র ডি রাজা ছাড়াও প্রতিনিধিদলে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, ডিএমকে’র তিরুচি শিবা, আরজেডি’র মনোজ ঝা, টিএমসি’র দীনেশ ত্রিবেদী প্রমুখ। শ্রীনগরের পাশাপাশি রাজ্যের আরও কয়েকটি জায়গায় গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা ছিল প্রতিনিধিদলের।

প্রসঙ্গত গত ৫আগস্ট সংবিধানের ৩৭০নম্বর ধারা খারিজ এবং জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বিভাজনের পর থেকে গোটা উপত্যকা যেন গুমরে রয়েছে। স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের বাড়িতে আটকে, বেনজির সংখ্যায় আধাসেনা নামিয়ে, মোবাইল-ইন্টারনেট বন্ধ রেখে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করে গায়ের জোরে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যেই মানুষের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ আঁচ করে শুক্রবার থেকে পাহারা এবং নিষেধাজ্ঞা দুইই আরও কঠোর করেছে প্রশাসন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।