রাজ্য

শহীদ সন্তোষ ভট্টাচার্য স্মরণে।


মিতা দত্ত:চিন্তন নিউজ:৬ই এপ্রিল:- সন্তোষ ভট্টাচার্য শিক্ষক আন্দোলনের অবিসংবাদী নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তৎকালীন নকশাল অন্ধকারে অর্তকিতে আক্রমণ করে হত্যা করে। আধা ফ্যাসীবাদী সময়েও তাঁর মৃতদেহ নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ মিছিল করে। উনি চিরস্থায়ী আসন নিয়ে বেঁচে থাকবেন। প্রতি বছর বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে হল ভর্তি মানুষের উপস্থিতিতে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।কিন্তু আজ করোনা’ র এই সংকটের সময় মুর্শিদাবাদ জেলার নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির গৃহে গুটিকয়েক শিক্ষকের উপস্থিতিতে তাঁকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে স্মরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন এবিটিএ জেলা সম্পাদক কমরেড দুলাল দত্ত সহ অন্যান্য কমরেড।

উনি গণসংগঠন হিসেবে প্রধানত মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের মধ্যে কাজ করতেন। সে সময় এখনকার মতো এতো রাস্তাঘাট বা যানবাহনের এতো সুযোগ ছিলো না। উনি নিজে প্রতিবন্ধী ছিলেন তথাপি ব্যাপকভাবে স্কুলে স্কুলে শিক্ষকদের সংগঠিত করতেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষক আন্দোলনের কর্মীদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ ছিল।শিক্ষক আন্দোলনের নেতা হিসেবেই ৬০ এর দশকে বিধানসভার যে উচ্চকক্ষ হিসাবে বিধান পরিষদ ছিল,তিনি তার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং একজন দক্ষ বাগ্মী এবং পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।

মুর্শিদাববাদ জেলার যাঁরা কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতা বলে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত ছিলেন সন্তোষ ভট্টাচার্য তাঁদের অন্যতম। তিনি যে সৈদাবাদ এলাকায় বাস করতেন, সেই এলাকাকে অনেকে মস্কো পাড়া বলতো। সেই কঠিন সময়ে তিনি পৌর কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন।কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে তাঁর গভীর আগ্রহ ছিল।তাঁর মতো সুদক্ষ নেতাদের উদ্যোগেই শিক্ষক সন্মেলনে ভূমিসংস্কারের প্রস্তাব আলোচিত ও উথাপিত হয়।।

প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাণের ঝুঁকি ছিল। কিন্তু তাঁর আদর্শ সাহসও মনোবল তাঁকে প্রেরণা যুগিয়ে গিয়েছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।