রত্না দাস, চিন্তন নিউজ, ২২ সেপ্টেম্বর: দুঘর্টনায় আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য তৈরী হয় ট্রমা কেয়ার সেন্টার। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে সিঙ্গুরে আজ দুবছর যাবৎ তৈরী হয়ে পরে আছে।কিন্তু কবে চালু হবে তার উত্তর মিলছে না।সিঙ্গুরের বাসিন্দাদের প্রশ্ন তৈরি হওয়া কেন্দ্রটি কেন চালু হচ্ছে না?
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে ওই কেন্দ্রে প্রতি শয্যায় অক্সিজেনের লাইন দেওয়ার কাজ এখনো বাকি। এখনো প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী নিয়োগ হয় নি। যদিও প্রশাসনিক ভাবে নির্দেশ ছিল কর্মী সংখ্যা কম হলে জেলার অন্য হাসপাতাল থেকে কর্মী এনে সাময়িকভাবে কাজে লাগানো হবে। কিন্তু স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, এমনিতেই প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ কর্মী সংখ্যা কম।
জাতীয় পরিবহন কর্তৃপক্ষের সমীক্ষা অনুযায়ী, ডানকুনি থেকে পালসিট পর্যন্ত বিস্তৃত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে রোজ গড়ে একটি করে দুর্ঘটনা হয়, যা বহুক্ষেত্রে প্রাণঘাতীও হয়। এইসব ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা পেলে প্রান বাঁচানোর সম্ভাবনা থাকে।
২০১৬ সালে গুঁড়াপে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের কাছে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী একটি আধুনিক ট্রমা কেয়ার তৈরির কথা ঘোষণা করেন। সিঙ্গুরে সেই জমি দেখার ভার পড়ে হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার উপর। তিনি সিঙ্গুর কলেজের কাছে দশ একর জমি চিহ্নিত করেন। ইতিমধ্যে ভবনতৈরির কাজ শেষ। আধুনিক অপারেশন থিয়েটার তৈরী। চিকিৎসার যন্ত্রপাতিও এসে গেছে। কিছু সংখ্যক কর্মীও নিয়োগ করা হয়েছে।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছিলেন এই কেন্দ্র খুব দ্রুতই চালু হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশা করেছিল খুব শীঘ্রই চালু হবে এই কেন্দ্রটি। কিন্তু কবে চালু হবে এই কেন্দ্রটি?এই বিষয় নিয়ে প্রশাসন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য আধিকারিক সবাই চুপ।