জেলা

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম তুলতে গিয়ে ভীড়ের চাপে পদপিষ্ট ন’জন


সুপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:১৮ই আগস্ট:– যখন মানুষে মানুষে দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখা কোভিড-১৯ এর সঙ্গে যুদ্ধ জয়ের প্রথম শর্ত, তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানুষের কথা চিন্তা না করে নানারকম ঘোষনা করছেন আর সেই সমস্ত সুবিধা নিতে সব জায়গায় দূরত্ব বিধি লঙ্ঘন করে ,কোভিড বিধি না মেনে বিশাল জমায়েত হচ্ছে । আর জমায়েত না করেও উপায় নেই কারণ অধিকাংশ লোকের কাজ নেই ,পেটে ভাত নেই তাই তারা ” দুয়ারে সরকার” ,” লক্ষীর ভান্ডার” নামক নানা প্রকল্পে অল্পসল্প যা পাওয়া যায় তার জন্য ফর্ম তোলার জন্য জমায়েত হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী প্রকল্প ঘোষনা করেই তাঁর কর্তব্য সারছেন কিন্তু প্রশাসন সেই প্রকল্প গুলো সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে পুরোপুরি ব্যর্থ।

পশ্চিমবঙ্গের সব কটা জেলায় আজ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য এই ফর্ম তোলাকে কেন্দ্র করে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। আর আজ মালদা জেলায় ঘটে গেল চরম দূর্ঘটনা যা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্যর্থতাকে সবার সামনে এনে দিল। লক্ষীর ভান্ডার এর ফর্ম তুলতে গিয়েআজ দুপুরে মালদা জেলায় একটি শিবিরে ভীড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে নয় জন আহত হলেন । আহতদের মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহতদের মধ্যে দুজন শিশু আর বাকী ক’জন অসহায় মহিলা।

এমন অব্যবস্থা কেন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।‌ সরকারী তরফ থেকে জানানো হয়েছিল আজ বুধবার সকাল থেকে ফর্ম দেওয়া হবে। সেইমতো সাহাপুর স্কুলের সামনে সকাল থেকে মানুষ জমতে থাকে । বেলা গড়িয়ে গেলেও স্কুলের গেট খোলেনি । মানুষ অধৈর্য হয়ে উঠছিল । ইতিমধ্যে তৃনমূলের দূর্নীতির একটা খবর তাদের কানে আসে। ঐ গরীব মানুষগুলো জানতে পারে ভেতর থেকে তৃনমূলের কিছু লোকজন কে অনৈতিক ভাবে ফর্ম দিয়ে দিচ্ছে শিবির পরিচালনা কারীরা। এই খবর শুনে বাইরে অপেক্ষারত মানুষ উত্তেজিত হয়ে স্কুলের গেটে ধাক্কা মারতে থাকেন। তখন বাধ্য হয়ে স্কুলের গেট খুলে দেওয়া হয় এবং স্রোতের মতো মানুষ স্কুলের ভিতর ঢুকে পড়ে এবং কেন ভেতর থেকে নিজেদের লোকেদের ফর্ম বিলি করা হয়েছে এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গেও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আর এতে নয় জন মানুষ আহত হন এবং কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মালদাতে প্রথম এমন ঘটনা ঘটলো এমন নয় এর আগেও বিভিন্ন জেলাতে এমন ঘটনা ঘটেছে। এর আগে” দুয়ারে সরকার” এর ফর্ম তুলতে গিয়ে এই রকম জমায়েত হয়েছিল এবং সেখানেও তিনজন মহিলা গরমে রোদে অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। সাধারণ মানুষ ও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী কি শুধু নিজ রাজ্যের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এই সমস্ত প্রকল্প ঘোষনা করেন নাকি নিজের নাম কেনার জন্য এইসব প্রকল্প ঘোষনা করেন। সবটাই ভোটের জন্য এটা মানুষ অবশ্যই বুঝবেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।