রাজ্য

প্রশাসনের নেতিবাচক ভূমিকা


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২২শে মার্চ:–পশ্চিমমেদিনীপুরে পুরো শহর জুড়ে করোনা সংক্রমণ নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। সবং, গড়বেতা, চন্দ্রকোনা, পিংলা প্রভৃতি এলাকায় গুজব ছড়ানো হয়েছে।। ঝাড়গ্রামে কিছুদিন আগে রটানো হয়েছিল গোমুত্র পান করলে করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। মানুষ তাদের বিশ্বাসের উপর ভর করে তাই পান করে এবং আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে।

কুসংস্কার ও ধর্মান্ধ মানুষ শনিবার আবার প্রচারকদের মাধ্যমে ছড়ানো গুজবে বিশ্বাস করল। এদিন রটানো হয়েছিল ঘরের ঈশান কোণের মাটি খুঁড়লে নাকি কাঠকয়লা বা ছাই পাওয়া যাবে, সেই ছাই বা কয়লা কপালে লাগালে করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দূর্বল মন মানুষগুলোর ,সব কাজ ফেলে মাটি খুঁড়তে আরম্ভ করে।। যখন এমন কাজ হচ্ছে তখন প্রশাসন বা শাসকদলের কাউকে দেখা যায়নি এই কাজ বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে।।

এই ঘটনা শোনা মাত্র স্থানীয় বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীরা এবং স্থানীয় সিপিআইএম নেতা কর্মীরা দ্রুততার সাথে ওইসব এলাকায় যান গুজব আটকাতে।। তাঁরা মানুষ গুলোকে বোঝান যে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কি কি করনীয় এবং তাঁদের হাতে লিফলেট তুলে দেন।। এদিন হিন্দু জাগরণ সমিতির পক্ষ থেকেও চন্দ্রকোনা রোডে ১ কুইন্টাল এর বেশি ঘি রাস্তায় ফেলে পোড়ানোর গুজব রটে।। স্থানীয়রা ফোনের মাধ্যমে পরিচিতদের জানান।। এতেও নাকি করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।।

সুত্র থেকে খবর পেয়ে ওই অঞ্চলে যান বামপন্থী নেতা সনৎ চক্রবর্তী,বিজ্ঞান মঞ্চের সুবোধ হাঁসদা প্রমুখ ব্যক্তিত্বরা।।এই ঘটনা প্রশাসন জানা স্বত্বেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করে।। বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীরা মানুষ জনকে বোঝান যে, মাটিতে করোনার জীবাণু বেশীক্ষণ বাঁচে। হাত, চোখ, মুখ দিয়ে প্রবেশ করে শরীরে আর তখনই মানুষ আক্রান্ত হন। মানুষকে বোঝান হয় তাঁরা যেন বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয় , তাদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকার পরামর্শ দেন।।

জেলাজুড়ে বিভিন্ন গনসংগঠন, এবং সিপিআইএম এর পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না বোঝানো হয়, এবং প্রচারপত্র মানুষের মধ্যে বিলি করা হয়।। আদিবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সাবান , স্যানিটাইজার।।এই কর্মসূচি তে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম নেতা কমরেড তাপস সিনহা।।ঘাটালে দেড় হাজার স্যানিটাইজার কন্টেনার বিলি করা হয় সাধারণ মানুষ এর মধ্যে।। তাঁদেরকেও ভালো ভাবে বোঝানো হয় করোনা সংক্রমণ এড়াতে কি কি করনীয়।। তাদের কে নিজের হাতে স্যানিটাইজার বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং প্রচারপত্র দেওয়া হয়।।সবং এ গুজব রুখে সাবান, স্যানিটাইজার ও প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে বঙ্গীয় সাক্ষরতা ওরোগ প্রতিরোধ জনস্বাস্থ্য সমিতির পক্ষ থেকে।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।