মাধবী ঘোষ:চিন্তন নিউজ:২০শে এপ্রিল:-সারা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাস কোভিড ১৯ এর আগ্রাসী তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ।ঠিক তখন দ্বিতীয় পৃথিবী আবিষ্কারের খবর দিয়েছে নাসার বিজ্ঞানীরা। তারা দাবি করেছে নুতন এই গ্রহটি আকারে এক্কেবারে এই পৃথিবীর মতোই দেখতে।
নাসার বিজ্ঞানীরা বলেছেন পৃথিবী থেকে ৩০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে এই গ্রহ। নাসার কেপলার টেলিস্কোপের এর সাহায্যে যে সব গ্রহের অবস্থান এখনো পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়েছে তার মধ্যে পৃথিবীর সবথেকে বেশি মিল রয়েছে এই গ্রহটির। এটি পৃথিবী থেকে মাত্র ১.০৬ গুন বড়। পৃথিবীতে যতটা সূর্যের আলো পৌঁছায়, নুতন এই গ্রহে তার নক্ষত্র থেকে সেই আলোর ৭৫ ভাগ আলো পৌঁছায়।
২০১৮ সালে কাজ শেষ করেছে কেপলার টেলিস্কোপ। আরও নিখুঁত ভাবে বলতে গেলে ২০১৩ সালের পর থেকে মহাকাশ থেকে আর কোন তথ্য নিয়ে আসেনি এই টেলিস্কোপ। দুই হাজার কুড়ি সালে সামনে এলো এই নতুন গ্রহ, মহাকাশ বিদরা জানাচ্ছেন এই গ্রহে নাকি রয়েছে হ্যাবিটেবল জোন। হ্যাবিটেবিল জন হল পাথরের গ্রহের সেই অংশ যেখানে জল ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।
নাসার সাইন্স মিশনের ডিরেক্টরেট অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর থমাস জারবিউকেন বলেন এই আবিষ্কারে আশা করা যাচ্ছে যে তারাদের ভিড়ে লুকিয়ে আছে এক দ্বিতীয় পৃথিবী। গত জানুয়ারিতে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় ইন্টানশিপ করতে আসা ১৭ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী পৃথিবী থেকে বহুদূরে এমন এক গ্রহের খোঁজ দিয়েছেন, যে গ্রহ দুটি সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।
নাসার ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যেনেট সার্ভে স্যাটেলাইট(টি ই এস এস) মিশনে শিক্ষানবিশি পড়তে এসে উলফ কুকিয়ার নামে ওই শিক্ষার্থী এই গ্রহটি আবিষ্কার করেন বলে বার্তা সংস্থা এ এন আই এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।