দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

সরকারি উদ্যোগে শুরু হচ্ছে কোভিডের টীকাকরন


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ৩ জানুয়ারি: ২০২০ সাল থেকে পুরো পৃথিবী ভুগছে কোভিড-১৯ নামে এক অপরিচিত এক ভাইরাস সংক্রমণের কারণে। প্রতিটি দেশের বিশেষজ্ঞদের একটাই লক্ষ্য এই কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার। প্রতিটি দেশই নিজের মতো করে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির প্যানেলের ছাড়পত্র পেয়েছে অক্সফোর্ড এর কোভিড-১৯ এর টিকা।

শনিবার থেকেই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এখন প্রধান প্রশ্ন প্রথমে কারা এই টিকা পাবে, কত খরচ পড়বে এই টিকা নিতে আর কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এই টিকা নেওয়ার আগে বা টিকা নেওয়ার পর? এই সমস্ত প্রশ্ন নিয়ে মানুষ পুরোপুরি ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এই ধোঁয়াশা কাটাবার চেষ্টা করলেন এইমস অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া।

কোভিড পরিস্থিতিতে যাঁরা প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করেছেন অর্থাৎ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী এবং পুলিশদের এই টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। এইমস অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে অন্তত ত্রিশ কোটি জনগণ টিকা পাবেন। যে সমস্ত মানুষ শারীরিক ভাবে যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন অর্থাৎ যাঁরা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, প্রেশার বা অন্যান্য মারণ রোগের শিকার তাঁদের আগে টিকাদান করা হবে বলে এনডি টিভির এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন রণদীপ গুলেরিয়া।

তিনি আরও বলেছেন ঝুঁকি পূর্ণ অবস্থায় যাঁরা আছেন তাঁদের মধ্যে আবার ভাগাভাগি হবে সেই ভিত্তিতে যাঁরা ডায়াবেটিক কিন্তু খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সচেতন এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে আছে আবার কোন রোগী দশ বছর ধরে ইনসুলিন নিচ্ছেন অর্থাৎ যে রোগী বেশী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন তাঁদের বেছে নেওয়া হবে।

গুলেরিয়া আরও বলেন যে আপাতত এই টিকাদান কর্মসূচিতে যা খরচ হবে তা সরকারই বহন করবে তারপর অন্যান্য টিকা প্রকল্পের মতো সরকারি আওতায় নিয়ে আসা হবে। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ আঠাশ দিনের মধ্যে নেওয়ার কথা কিন্তু এটা বাধ্যতামূলক নয়। যেমন ব্রিটেনে দ্বিতীয় ডোজটি আঠাশ থেকে তিন মাসের মধ্যে নিতে হয় বলে জানিয়েছেন রণদীপ গুলেরিয়া। এই পদ্ধতিতে টিকাদান করলে মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বলে জানিয়েছেন এইমস অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।