দেশ বিদেশ

ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘নাকরি’,এর প্রভাব পড়বে ভারতেও।


সঞ্জিতা সঞ্জু:চিন্তন নিউজ:১৫ই নভেম্বর:–ভয়াবহ আকার ধারণ করলো ঘূর্ণাবর্ত নাকরি, কয়েকশো ঘরবাড়ির ধ্বংসের সাথে দুজনের মৃত্যু ঘটায় : উত্তরোত্তর ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ঘূর্ণাবর্ত নাকরি। ভিয়েতনামের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় কমপক্ষে দুজনের মৃত্যু ঘটায়। দুজনের মৃত্যু একজন নিখোঁজ হওয়ার সাথে সাথে এক হাজার হেক্টর জমির নষ্ট হয়, বহু রাস্তা চলে যায় জলের তলায়।

নাকরির অবস্থা ও ভয়াবহতা জানতে ৮ই নভেম্বর থেকে ইউরোপীয় কমিশন স্যাটেলাইট ম্যাপিং সিস্টেম চালু করে। আগামী ২৪ ঘন্টা সতর্কতা জারি করে দেশের পূর্ব ও উত্তর ভাগে।ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দপ্তর।থাইল্যান্ডের দক্ষিণাংশ অতিক্রম করে মায়ানমারের দক্ষিণভাগ যখন এসে পৌঁছাবে এই ঘূর্ণাবর্ত তখন ঘূর্ণাবর্তের লন্ডভন্ড করার ক্ষমতা কমে গিয়ে ভারী ভারী বৃষ্টিপাত ঘটাবে এই আশঙ্কা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
মায়ানমারের পর বঙ্গোপসাগরে এসে পড়লে পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করতে পারে নাকবি, এমনটা অনুমান আবহাওয়াবিদদের। তখন বঙ্গোপসাগর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে দক্ষিণ ভারতের বিপদ ঘনাবে, নাকরির মুখোমুখি হবে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা। তবে কবে এসে পৌঁছাবে এই ঘূর্ণাবর্ত সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি।

মাতমো থেকে উৎপন্ন বুলবুল ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছিল দক্ষিণ চীন সাগর ছিল মাতমোর উৎসস্থল। আবহাওয়াবিদদের মতে দক্ষিণ চীন সাগরে উৎপন্ন ঘূর্ণাবর্ত নাকমি মাতমোর চেয়ে বেশি শক্তিশালী। মাতমো থেকে উৎপন্ন বুলবুল যদি দুই বাংলার এত ক্ষতি সাধন করতে পারে তাহলে অধিক শক্তিধর নাকরির দাপটে কি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সেই বিষয়টি আবহাওয়া দপ্তর ও দেশবাসীকে ভাবাচ্ছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।