রাজ্য

মা,মাটি,মানুষের সরকারের কাছে মা আজ মূল্যহীন।


সুগত দত্ত:চিন্তন নিউজ:১৯শে ফেব্রুয়ারি:-গতকাল মেদিনীপুরের হলদিয়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঝিকুরখালিতে তৃণমূলের কাউন্সিলর রবীন মন্ডলের ইট ভাটায় ভোর রাতে দু’ জন মহিলাকে জ্বলতে দেখে এলাকার মানুষ। তাদের আর্তনাদে এলাকার মানুষ এসে জল ঢাললেও দু’ জনকে আর বাঁচাতে পারে নি। হ্যাঁ এখানেও পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে খুনিরা। সম্ভবত ধর্ষণ করেই খুন। ওই অঞ্চলে স্থানীয়রা বলছেন বিভিন্ন বে-আইনি ব্যবসা চলে শাসক দলের মদতে। প্রশাসনের কাছে কমপ্লেইন করেও সুরাহা হয় নি। আর শাসকের এই মুক্তাঞ্চলে কিছু মাস আগে দুই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়।

যে দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যেক দিনের নিরাপত্তা খরচ ১.৬২ কোটি টাকা মাত্র। দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্মৃতি ইরানি কিংবা রাজনাথ এরা সবাই জেড প্লাস নিরাপত্তা পান। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিংবা জামার হাতা গুটিয়ে ঘুষ নেওয়া কোন মন্ত্রী জেড ক্যাটাগড়ি নিরাপত্তা পান।সর্বশেষ বর্তমান শাসক তৃণমূলের পরামর্শ দাতা প্রশান্ত কিশোরের জন্য জেড ক্যাটেগরি নিরাপত্তা। না এই সব হচ্ছে পুরোটাই জনগণের করের টাকায়। আর জনগণের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে।

আচ্ছা ক’জন ভারতীয় জানেন ভারতে প্রতিদিন প্রায় ১০০ জন নারীকে ধর্ষিতা হতে হয়। বয়সের কোনো মাপ কাঠি নেই। ৮ দিনের শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধা। আর সেই ধর্ষকের সাজা দিতে ৭ বছর কম পরে যায় ভারতে নির্ভয়া কাণ্ড তার উদাহরণ। কিংবা কাঠুয়া কাণ্ডে শিশুর ধর্ষকদের বাঁচাতে পদ্ম পতাকা নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায়। না ২০১৪ ভোটে জেতার পর দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন “বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও”! মনে হয় তা ছিল বেটি পোড়াও। তাই তো এখন সারা দেশে ধর্ষণ করে জ্যান্ত মানুষের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। তার প্রমাণ হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসককে রাতের অন্ধকারে গন ধর্ষণ করে জীবন্ত আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে দিলো ধর্ষকরা। এই ঘটনায় সবাই ধরা পড়লো কিনা জানা যায় নি।

এবার বাংলা,যা হচ্ছে অনেক পুরস্কার পাওয়া কন্যাশ্রী রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন পশ্চিমবঙ্গ নারীদের জন্য সুরক্ষিত। যদিও ওই রিপোর্ট ২০১২ সালের। পার্ক স্ট্রিটের সুজেটকে ভুলে যায় নি বাংলার মানুষ। যে ২০১৩ তে ধর্ষণ হবার পর ২০১৫ তে মারা গেছেন। আজ ২০২০ তে ধর্ষককে ছুতে পারে নি কেউ। আর মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ধর্ষণ ছোট্ট ঘটনা। বাচ্চা ছেলেরা একটু দুষ্টুমি করে ফেলেছে। মা মূল্যহীন হয়ে র‌ইল বাংলায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।