অর্থনৈতিক দেশ

অর্থনীতিতে গতি আনতে ছাপতে হবে টাকা


চৈতালি নন্দী, চিন্তন নিউজ, ২৫ এপ্রিল: অবরুদ্ধ সময়ে তৈরী করতে হবে ভবিষ্যত অর্থনীতির  ব্লুপ্রিন্ট,  বললেন অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়। নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন করোনা ভাইরাসের কবলে দেশের অবরুদ্ধ সময়ে অর্থনীতির গতি স্তব্ধ হলেও, এতে আশঙ্কিত হলে চলবেনা। যখনই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হবে তখনই গতি পাবে অর্থনীতি। এই অবরুদ্ধ সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে চাইলে চাই সঠিক পরিকল্পনা। এই ধরণের পরিস্থিতিতে সফলতার নজির রয়েছে। আকস্মিক কিছু হবেনা।

বেসরকারি সংগঠন ব্র‍্যাক এর একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে একথা বলেন ম‍্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির এই নোবেলজয়ী অধ‍্যাপক। এসময় উন্নত দেশগুলোর মতোই ভারত, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলিও নিজেদের অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। বেড়েছে লকডাউনের কড়াকড়িও। এই কড়াকড়ি তখনই অর্থবহ হবে যদি এতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের লাভ হয়।

কোভিড ১৯ সংক্রমণ নিয়ে আরোপিত কড়াকড়ি অর্থনীতিতে কি প্রভাব ফেলবে, সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এর প্রভাব নিয়ে খুব বেশী কাজ না হলেও, যদি কোনো সামাজিক বয়কট না হয়, তবে একবার অর্থনীতিকে শৃঙ্খল মুক্ত করা হলে, তা দ্রুতই গতি পায়। দ্বিতীয়  বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান, জার্মানি এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর অল্প সময়ের মধ‍্যে অর্থনীতি দ্রুতই কাঙ্খিত গতি পেয়েছিল। ভারত বা বাংলাদেশের জন‍্যে বিষয়টা এমন নয় যে আজ অর্থনীতি অবরুদ্ধ থাকলে, কালও তা গতিহীন থাকবে।

ভারত বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ এই অর্থনীতির সংকট থেকে পরিত্রাণ পেতে নানা উৎসাহ মুলক সিদ্ধান্ত গ্রহন করছে। তিনি মনে করেন অল্প দিনের ব‍্যাপার হলে বিদেশি সংস্থা থেকে ঋন নেওয়া যেতো। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের মতো কিছু দেশ টাকা ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারন মানুষের হাতে টাকা আসলে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে, মানুষ খরচ করে জিনিস কিনবে। এতে মানুষের জীবন জীবিকা দুয়েরই উন্নতি হবার সঙ্গে সঙ্গে সচল হবে অর্থনীতির চাকা। যদিও মূদ্রাস্ফীতির আশঙ্কায় ভারত এখনও টাকা ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

ভারতের মতো দূর্বল পরিকাঠামোর দেশে সকলের হাতে টাকার সুষম বন্টন না করা গেলেও ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের কাছেও যদি তা পৌঁছে দেওয়া যেতো, তাহলে অর্থনীতির অবরুদ্ধতা ক্রমশ কাটিয়ে ওঠা যেতো বলে তিনি বিশ্বাস করেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।