জেলা

হাসপাতালের খাবার থেকে বেবিফুড, চুঁচুড়াতেও ভুখমারী রুখতে বামপন্থী ছাত্র যুবরা


স্বাতী শীল:চিন্তন নিউজ:২৪শে মার্চ:- শুধু মহামারি প্রাণ কাড়ছে না। প্রাণ কাড়ছে ভুখমারি। লক ডাউন পর্বে সবচেয়ে আক্রান্ত গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যের গরিব প্রান্তিক মানুষ। মহামারি পর্বেও তৃণমূল আছে তৃণমূলেই!
রেশন দোকানে দোকানে চুরি, লুট। তৃণমূলের মাতব্বরদের ত্রাণ বিলিতে ক্যামেরার ফটো স্টান্ট।বুভুক্ষু মানুষের প্রতিবাদ ভাঙতে লাঠি।

অনাহারের বাংলায় গরিব প্রান্তিক মানুষের পাশে শ্রেণী দায়িত্বে অবিচল বামপন্থীরাই। কোথাও বাড়ি বাড়ি খাবার বিলি, কোথাও পিপলস কিচেন। ক্লান্তিহীন ভাবে।

রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো লক ডাউনের একটি মাস ধরে পুরো লকডাউন পরিসরে চুঁচুড়া হুগলি জেলার বিভিন্নস্থানে নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে ধরা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে চুঁচুড়া এসএফআই ডিওয়াইএফআই যৌথভাবে।লকডাউন চলাকালীন যাতে গরীব সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ অভুক্ত না থাকে সে বিষয়ে চুঁচুড়ার এসএফআই ডিওয়াইএফআই এর তরফে যৌথ উদ্যোগে ধারাবাহিকভাবে কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এই কর্মসূচির শুরু হয় ৫ই এপ্রিল থেকে।

ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে রোগীদের পরিবারের প্রায় ১৩০ জন মানুষকে প্রতিদিন রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে চুঁচুড়া এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই এর তরফ থেকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কে তোয়াক্কা না করে এই কর্মসূচি চালিয়ে গেছে তারা নিরলসভাবে। এছাড়াও এই সংকটকালে চুঁচুড়া ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রায় পঁচিশটি আর্ত পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী।২৫ জনের বেশি মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও ঔষধ।আগামী প্রজন্মের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি এদের। তাই এই সংকটকালেও বেবি ফুড এর ব্যবস্থা করে তা তুলে দেয়া হয়েছে পাঁচটি শিশুর হাতে।

শুধু তাই নয় সচেতনতা বৃদ্ধিতে দুঃস্থ ও গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে শতাধিক সাবান।এছাড়াও গৃহবন্দী অসুস্থ ও বৃদ্ধ মানুষের প্রয়োজনে খোলা হয়েছে একটি হেল্পলাইনও।

পরিশেষে বলা যায় নিরন্তর সংগ্রাম করে চলেছে,করোনার বিরুদ্ধে, চুঁচুড়া এসএফআই ডিওয়াইএফআই একত্রে। আত্মপ্রচারের নেশায় নয় মানুষের প্রয়োজনে, দুর্দিনে মানুষের পাশে থাকাই হল একমাত্র মূল লক্ষ্য ভারতের বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠন এসএফআইও ডিওয়াইএফআইয়ের।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।