জেলা রাজ্য

জগাছা, মৌখালি এলাকায় ‘পরিযায়ী শ্রমিক সহায়তা কেন্দ্র’ -শ্রমিকদের পাশে থাকার এক প্রয়াস


লাল্টু ঘোষ: চিন্তন নিউজ:২৩শে মে:–কত লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ভিন্ন রাজ্যে কাজের সন্ধানে, কেন্দ্র বা রাজ্যসরকার কারোর কাছেই ছিল না কোনো হিসাব। তাঁরা কীভাবে বাড়ি ফিরবেন অথবা লকডাউন চলাকালীন তাঁদের পরিবারের রেশনব্যবস্থা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা গ্ৰহণ করেনি কোনো সরকার। এককথায় এইসব দুঃস্থ মানুষরা স্থান পান নি মন্ত্রী আমলাদের চিন্তা চেতনায়। উভয় প্রশাসন ব্যস্ত ছিল মন্ত্রী পুত্র, আমলাদের পরিবার কিংবা ভোট বৈতরণী পার করে যারা সেই কর্পোরেট কর্তাব্যক্তিদের সুযোগ সুবিধা দিতে। দীর্ঘদিন লকডাউন চলাকালীন পরিযায়ীদের ফেরানোর কোনো উদ্যোগ প্রশাসন গ্ৰহণ না করার কারণে তাঁরা শূন্য পকেটে হাজার হাজার মাইল হেঁটে ফিরতে বাধ্য হন।

লকডাউন সূচনার প্রথম দিন থেকেই প্রশাসনের চরম হতাশাজনক ভূমিকা দেখে বামপন্থী দল, গণসংগঠনগুলো যেখানে যেভাবে সম্ভব এই প্রান্তিক মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নেয় যা আজও চলছে। জাতীয় সড়কের পাশে শুরু হয় কমিউনিটি কিচেন। ক্ষুধার্ত, পথশ্রমে ক্লান্ত পরিযায়ীদের খাবার, জল, গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয় বিভিন্ন বামপন্থী গণসংগঠনগুলো। সি পি আই (এম) দক্ষিণ হাওড়া এরিয়া কমিটির কর্মীরা নিরলসভাবে এই কাজ করে চলেছেন। গতকাল ও একদল শ্রমিকদের খাওয়া ও গাড়ির বন্দোবস্ত করে দেন কর্মীরা। সিটু ‘পরিযায়ী শ্রমিক সহায়তা কেন্দ্র’গড়ে তুলে স্থানীয় মানুষের সাহায্যে লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই শ্রমিকদের পাশে থাকার।

এরপর আমফানের তান্ডবে বিধ্বস্ত জগাছা, মৌখালি এলাকায় ৩৭ টি বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। এলাকায় বিদ্যুৎনেই, পানীয় জলের হাহাকার। এমতাবস্থায় ভরসা সেই যুব কর্মীরা, প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই। যুবকর্মীরা কুড়ি লিটার জলভর্তি ব্যারেল এলাকায় বিভিন্ন পরিবারে পৌঁছে দেন। বিশেষ করে বয়স্কদের যে কোনো প্রয়োজনে হাজির এই বাহিনী। এই অচলাবস্থা যতদিন না কাটিয়ে ওঠা সম্ভব ততদিন এইভাবেই সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে পাশে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ এলাকার ছাত্র যুব, সিটু ও বামপন্থী গণসংগঠনের কর্মীরা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।