রাজ্য

নাম মাত্র ভাতা পান মিড-ডে মিল রন্ধন কর্মীরা।


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ১৭ সেপ্টেম্বর: অক্লান্ত পরিশ্রম করে সকাল নটা থেকে তিনটে পর্যন্ত। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা কোন ছুটি নেই। সেই রন্ধন কর্মীদের ভাতা মাসে ১৫০০ টাকা। তাও আবার দু’মাস মেলে না। দশ মাস এই সামান্য ভাতা পান তারা। মিড-ডে মিল রন্ধনকারীদের নেই কোন সামাজিক সুরক্ষা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ঘোষনা করেছিলেন যে রন্ধন কর্মীদের ভাতা দেওয়া নিয়ে সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু তার কথাই যে সার তার প্রমান রাজ্যবাসী বহুবার পেয়েছে।

ধর্মতলায় মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করানোর জন্য রন্ধন কর্মীরা সোমবার অবস্থানে সামিল হন রানী রাসমনি রোডে। ন্যূনতম ১৮০০০ টাকা মজুরী, উৎসবকালীন ভাতা, পি.এফ., মাসে ৬০০০ টাকা পেনশনের পক্ষে সমর্থনন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ সাধারন সম্পাদক অনাদি সাহু। সভায় বক্তব্য রাখেন সুভাষ মুখার্জী, গার্গী চ্যাটার্জী, রত্না দত্ত, সমীর সাহা, রশিদা বেগম, মধুমিতা ব্যানার্জী প্রমুখ। এই সভাটি পরিচালনা করেন সুনীল লাঠি।

অনাদি সাহু তার বক্তব্যে বলেন প্রথম ইউপিএ আমলে বামপন্থীরা সাংসদে বেশী ছিলেন। তখন ১০০ দিনের কাজ, মিড-ডে মিল নিয়ে সরব হতেন বামপন্থীরা। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্র রাজ্য দুই সরকারই উদাসীন এই গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে। যে টাকা মিড-ডে মিলে বরাদ্দ হচ্ছে তা দিয়ে বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাদ্য মিলছে না। চারিদিক দিয়ে এ নিয়ে অভিযোগ আসছে গোটা দেশ জুড়ে। ২০১০ সালে বামফ্রন্ট সরকার নানারকম আলোচনা শুরু করেছিল কিন্তু ২০১১ তে রাজ্যে পরিবর্তনের পর থেকে মমতা আর এই নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না।

সুভাষ মুখার্জী বলেন মানুষের করের টাকা থেকে মেলা, খেলা, পুজো ইত্যাদিতে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়। জগন্নাথ মন্দির তৈরী করার পরিকল্পনা করা হয় মানুষের করের টাকাতে। চারিদিকে দানখয়রাত করে বেড়াচ্ছে সরকার, অথচ গরিব তস্য গরীব রন্ধন কর্মীদের ভাতা বাড়ানোর কথা ভাবে না। তাদের জন্য ব্যবস্থা করে না কোন সামাজিক প্রকল্পের। দাবী আদায়ের লড়াই জোরদার করতে হবে বলে জানান নেতৃবৃন্দ।

একগুচ্ছ দাবী সহ তারা এক দাবীপত্র পেশ করেছেন প্রকল্প অধিকর্তা র কাছে। দাবিগুলি হল – ১) রন্ধনকর্মী দের চতুর্থ শ্রেণীর মর্যাদা দিতে হবে। ২) ন্যূনতম ১৮০০০ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে। ৩) মাতৃত্বকালীন ছুটি দিতে হবে। ৪) উৎসব ভাতা দিতে হবে। ৫) সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা দিতে হবে। অবিলম্বে যদি দাবীগুলো পূরন না হয় তবে রন্ধন কর্মীরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে জানা গেছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।