চিন্তন নিউজ: ১৯শে ফেব্রুয়ারি:- মিতালি সরকার জানাচ্ছেন– ২০০০ সালের ১৯ শে ফেব্রুয়ারি মায়নাগুড়ির যুব ফেডারেশনের ঘেগড়া বাড়ি ইউনিট কমিটির সম্পাদক কমরেড দিলীপ রায় দুষ্কৃতীদের আগ্নেয়াস্ত্রে শহীদের মৃত্য বরণ করেন। রাজনৈতিক কারণে , উত্তরবঙ্গের শান্তি প্রিয় মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা শুরু হয়। সেই সময় ডিওয়াইএফআই সহ সমস্ত বামপন্থী সংগঠন বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী আন্দোলনে রাস্তায় নামে। অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলা সেই সময় ১৯ জন বাম আন্দোলনের কর্মীকে হারায়। ময়নাগুড়িতে প্রথম শহীদ হন কমরেড দিলীপ রায়। কমরেড দিলীপ রাযের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের ” আয়োজন করে মায়নাগুড়ি ডিওয়াইএফআই এর ২ নং লোকাল কমিটি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বাদ বিরোধী শপথ গ্রহণ করে। আজ ৫২ জন যুব রক্ত দান করেন। উপস্থিত ছিলেন ছাত্র- যুব সহ বিভিন্ন গণ সংগঠন, গণ আন্দোলনের নেতৃত্ব সহ সাধারণ মানুষ।
দীপশুভ্র সান্যাল জানিয়েছেন— প্রতিবন্ধী মানুষজনের অধিকার সুরক্ষিত করবার জন্যে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদের উভয়কক্ষে এবং পরবর্তী সময়ে তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ব্যক্তিদের অধিকার আইন তৈরি করা হয় । এই আইন তৈরির দু’ মাসের মধ্যে দেশজুড়ে এই আইন বলবৎ করার কথা বলা হলেও পশ্চিমবঙ্গে এই আইন বলবৎ করতে ক্রমশ উদাসীনতা দেখা যায় এরাজ্যের সরকারের মধ্যে । ফলত এরাজ্যের প্রতিবন্ধী মানুষদের সরকারি নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে । এর প্রতিবাদে এবং বেশকিছু দাবীদাওয়া নিয়ে আজ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর পক্ষ থেকে জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয় ।
প্রতিটি পঞ্চায়েতে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি ,১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে পঞ্চায়েতস্তরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ৫ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা , থ্যালাসিমিয়া হিমোফিলিয়া মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে বিবাহের আগে বাধ্যতামূলক রক্তপরীক্ষার আইন চালু করা সহ আরও বেশকিছু দাবী লিখিত আকারে জমা দেওয়া হয় । কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর জেলা কমিটির সম্পাদক রনজিৎ কুমার রায় সহ অন্যান্যরা এই কর্মসূচিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সদস্যরা ।