সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১৯শে আগস্ট:– কোভিড-১৯ এর কারণে বন্ধ ভারত- বাংলাদেশ বর্ডার আর সেই সঙ্গে বন্ধ বাংলাদেশী দের ভারতে আসা। বাংলাদেশীরা প্রধানতঃ এদেশে আসেন চিকিৎসার কারণে বা ব্যবসাবানিজ্য করতে। আর ভারতে যখন আসেন তখন তাঁরা বসবাস করেন কলকাতার প্রানকেন্দ্র নিউমার্কেট এলাকা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে মারকুইস স্ট্রিটে। এই মারকুইস স্ট্রিট এর সমস্ত হোটেল ,রেস্তোরা ,জামাকাপড় এর ব্যবসা, প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যবসা সব চলে বাংলাদেশের মানুষের উপযোগী জিনিসপত্রের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ থেকে যখনই কেউ আসেন তাঁরা এখানেই থাকেন ,এখানেই তাঁদের ওঠাবসা।
করোনা আবহে বাংলাদেশ থেকে লোকজন আসা বন্ধ আর আসার জন্য মিলছে না প্রয়োজনীয় ভিসা। আর সেই কারণে এদেশের যে ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপদে। কারণ এই অঞ্চলে সাধারনত কলকাতার জনগনের যাতায়াত একদম নেই বা যান না কোন জিনিসপত্র খরিদ করতে। যে মারকুইস স্ট্রীট মাত্র দেড় বছর আগেও মানুষজনের আনাগোনায় জমজমাট থাকতো এখন সেই মারকুইস স্ট্রিট জনমানব শূন্য।সেখানকার ব্যাবসায়ীরা জানিয়েছেন যেহেতু বাংলাদেশীরা আর আসেন না তাই তাঁদের ব্যবসাপত্র একরকম বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে দোকান খুলেও কোন লাভ নেই তবু সময় কাটানোর জন্য কেউ কেউ দুই তিন ঘন্টার জন্য দোকান খুলে বসেন তারপর আস্তে আস্তে শূন্য হাতে বাড়ী ফিরে যান।কর্মচারীদের বেতন দেওয়া তো দূরের কথা দোকানের ভাড়াও দিতে পারছেন না। জমিয়ে রাখা টাকায় কোনমতে দিনযাপন করছেন তাঁরা। কোন সরকারি সাহায্য পাওয়া তো দুরের কথা কেউ তাঁদের খোঁজ ও রাখেন না কিভাবে তাঁরা দিন কাটাচ্ছেন। পরিবহন ব্যবস্থা প্রায় উঠে যেতে বসেছে। এই অঞ্চলে রোজ প্রায় তিরিশটিরও বেশী বাস যাতায়াত করতো এখন সব বন্ধ। এই বাসগুলোর সাথে যারা সরাসরি আর্থিক ভাবে জড়িত তাঁদের কারুর হাতে কোন কাজ নেই। সম্পূর্ণ রোজগারবিহীন হয়ে গেছেন তাঁরা। তাঁদের প্রশ্ন এভাবে আর কতদিন চলবে —
— কিভাবে বাঁচবেন তাঁরা আর কবেই বা খুলবে ভারত- বাংলাদেশ বর্ডার—- আর তাঁরা তাঁদের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবেন।।