কল্পনা গুপ্ত: চিন্তন নিউজ:১লা মে– হাসপাতালে আগুন লেগে করোনা রোগীর মৃত্যু এখন এক অদ্ভুত খবর। প্রায়ই এই খবর শিরোনামে আসে। গুজরাটের ভারুচে হাসপাতালে আগুন লেগে ১৮ জন কোভিদ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশে এখন অক্সিজেন সরবরাহ অপ্রতুল। অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন সাধারণ জনগণ। সরকারি হাসপাতালে রেমডিসিভির ওষুধের আকাল। কতৃপক্ষের উক্তি- কোভিদ রোগীর সবাইকেই বাঁচতে হবে তার কি মানে আছে! কোভিদ পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবা দিতে ব্যর্থ ভারত সরকার। স্বাস্থ্য পরিষেবার দুর্বল অবস্থা, অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা একথাই স্মরণ করিয়ে দেয় যে দেশের জনগণের প্রাণের দাম কিছুই নেই। বিশেষত প্রান্তিক মানুষজনের।
বড় বড় অর্থবান মানুষের ব্যবস্থা বিশেষ। আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্যের মতই স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রেও ফাঁক রয়ে গিয়েছে। ২০২০ সালের কোভিদ ১৯ এর প্রথম ঢেউয়ে ছবি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে প্রান্তিক মানুষ যাদের শ্রমে দেশ চলে তাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে চুড়ান্ত ব্যার্থ ভারতের বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। একেবারে অপরিকল্পিত লকডাউন বিগত বছরে অনেক প্রান্তিক মানুষের জীবন কেঁড়ে নিয়েছে। কিন্তু এর থেকে কোন শিক্ষা কি সরকার নিতে পেরেছে?
সারা বিশ্বে এখন কোভিদের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত শীর্ষে। সম্প্রতি নিয়জক্লিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মহারাষ্ট্রের গিড়চিরৌলির ২৮ বছরের প্রাসিক জানিয়েছেন, গতবছর তার বাবা মারা যান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। কিন্তু আসল সত্য হলো হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছিলো। মহারাষ্ট্রের ওই আদিবাসী জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবা নেই। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের অক্সিজেনের অভাবে বহু সদ্যজাতর মৃত্যু সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
এক সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে প্রতিবছর ভারতে ১৬ লক্ষ মানুষ চিকিৎসাজনিত অব্যবস্থার কারণে মারা যাচ্ছে। প্রতিবছর প্রতি ১ লক্ষ জনসংখ্যায় ১২২ জন ভারতীয় অবহেলিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় মারা যায়। যেখানে বাংলাদেশে ৫৯ ও শ্রীলঙ্কায় ৫১ জন।