সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২০শে মার্চ:–মানুষের মধ্যে রয়েছে করোনা সংক্রমণের তীব্র আতঙ্ক আর এই আতঙ্কের সাথে জড়িয়ে গেছে জীবন জীবিকার জন্য এক মারাত্মক আশঙ্কা।। করোনা এসেছে আর সাথে এনেছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবন জীবিকা,খাদ্য ও আয়ের অনিশ্চয়তা।। প্রধানমন্ত্রী বা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী গরীব মধ্যবিত্ত মানুষকে কোন আশার আলো দেখাতে পারেন নি।। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ প্রচার চালাচ্ছেন ও মানুষকে সচেতন করছেন।।
উল্লেখ্য ১৫ ই মার্চ অবধি তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দলীয় কর্মসূচি থাকার জন্য পশ্চিমবাংলা সরকার যথেষ্ট দেরীতে সংক্রমণ সচেতনতা শুরু করেছে।। কিন্তু রাজ্যে কাজের অভাব প্রচুর মানুষ পশ্চিমবাংলার বাইরে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যায় ।।। করোনার ভয়ে তারা সরকারের কর্মসূচি শুরুর আগেই বাড়ি ফিরে এসেছে এই যে বাইরে থেকে লোকজন পশ্চিম বাংলাতে এল এখনো পর্যন্ত তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা চোখে পড়ে নি।। কর্মসূত্রে বাইরে থাকা লোকজন সাধারণত ট্রেন,বাস বা অন্যান্য নানারকম যানবাহনে বাড়ি ফেরেন।।। এসব লোকদের যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোন কথা বলতে শোনা যায় নি।। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে থাকে তার জন্য কোন আশার কথা শোনাতে অক্ষম হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।।
এর ফলে মধ্যবিত্ত , গরীব মানুষ অত্যন্ত আশঙ্কাতে ভুগছেন।। আর এর প্রভাব সরাসরি মানুষের হেঁসেলে গিয়ে পড়েছে।। করোনার ভয়ে সাধারণ মানুষ বাজারে যেতে ভয় পাচ্ছেন আবার অনেক জায়গায় রটানো হচ্ছে দোকান বাজার বন্ধ হয়ে যাবে।।। নবান্নের বৈঠকে মমতা ব্যানার্জি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন কেউ জিনিসপত্র মজুদ করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।। কথায় কথায় টাক্সফোর্স গঠন করা বা পুলিশের ভয় দেখানো তৃনমুল সরকারের স্বভাব।। এই বিষয়টি তিনি পুলিশের উপর ছেড়েছেন।। । মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি ইতিমধ্যে জীবন যাপন করতে লাগে এমন জিনিস পত্র মজুদ করতে শুরু করেছে ।। চাল,ডাল, ডিম,দুধ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তাঁরা বেশি বেশি করে এনে রাখছেন।।
কিন্তু যারা আর্থিক ভাবে দূর্বল ,দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ তাঁরা কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।।এই সমস্যার কোন সমাধান করতে পারেন নি প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।। স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য পৌরসভা , পঞ্চায়েত বা সরকারি সংগঠন গুলোকে উদ্যোগী হতে হয়।।। সাধারণ মানুষকে এই উদ্যোগের সাথে জড়িয়ে নিতে হয় কিন্তু মমতা ব্যানার্জিকে এমন কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায় নি।। মানুষদের আশ্বস্ত করতে পুরোপুরি ব্যর্থ ।।
এই সঙ্কটের মধ্যে কালোবাজারিরা তাদের কারসাজি শুরু করে দিয়েছে।। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ প্রিয়পাত্র এক বহুজাতিক সংস্থার দ্বারা পরিচালিত এক রিটেল শপে আলুর দাম বেড়েছে বলে সুত্রের খবর ।। সেই আলু কেনার জন্য মানুষের লম্বা লাইন পড়েছে।। তার থেকেও আশ্চর্য জনক কোথায় পুলিশ বা সরকারি হস্তক্ষেপের চিহ্ন মেলেনি।।হকার বা ছোট দোকানীদের মধ্যে করোনার আতঙ্ক মারাত্মক থাবা বসিয়েছে।।
অসঙ্গঠিত শ্রমিকদের কাজ দ্রুত হারে কমছে। বেসরকারি বাস চলাচল রোজ কমছে। যাত্রী কমে যাওয়ার ফলে বিপদে পড়েছে চালক কন্ডাক্টরদের একটা অংশ। টোটো, অটোরিকশা চালক রাও চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।। এদের দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য কোনো রকম কথা বলতে পারেন নি মমতা ব্যানার্জি।। দিনমজুরদের কাজ লক্ষনীয় ভাবে কমেছে ফলে তারা চরম সঙ্কটে।।এইসব কারণে ভারত আরও বেশী করে আর্থিক মন্দার মুখে পড়বে।।এই আগত মন্দা ঠেকানোর কোনো আশার আলো দেখাচ্ছে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ।। সংক্রমণ
একজায়গায় জমায়েতে মানা করছে।। কিন্তু কলকারখানা গুলোতে,চা বাগানে অনেক শ্রমিক একসাথে কাজ করে।এই অবস্থায় কি করবেন তাঁরা? তাঁরা যদি কাজ না করেন বা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন তবে তাদের সংসার চলবে কি করে??? তাদের জন্য সরকারের কি সহায়তা থাকছে সেটা জানা যায়নি।।এটা বোরো চাষের সময়।। আলু উৎপাদন হচ্ছে।।।এমন পরিস্থিতিতে চাষের কি হবে কোন পক্ষ তার উত্তর দিতে পারে নি।এদিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া আবশ্যক বলে দাবি মানুষের।