দেশ

এল জি পলিমারের সাউথ কোরিয়ান সিইও গ্রেফতার


কল্পনা গুপ্ত: চিন্তন নিউজ:১০ই জুলাই:– ভারতে বিশাখাপত্তনমে গ্যাস দুর্ঘটনায় বুধবার গ্রেফতার হলেন সাউথ কোরিয়ান সিইও সহ এগারো জন প্লান্টের কর্মী। ২০২০ সালের ৭ ই মে মারা যান ১৫ জন নাগরিক এবং গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন শতাধিক মানুষ। এই এল জি পলিমার প্লান্টটি সাউথ কোরিয়ার মালিকানাধীন।

দুর্ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এসেছে নিম্নমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অবহেলাজনিত কারণের কথা।

সিইও সানকি জিয়াং এবং টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ডি এস কিমকে গ্রেফতার করা হয় বুধবার। একই সাথে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে অবস্থিত রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা দুইজন পরিবেশ ইঞ্জিনিয়ারকেও সাসপেন্ড করে।

বিগত ৭ই মে তিনটের সময় ঘুম ভেঙে যায় গ্যাসের দুর্গন্ধে। এরপরে স্টিরাইন গ্যাসবাষ্পের
বিষক্রিয়ায় মৃত্যু ঘটে। এই গ্যাস প্লাস্টিক তৈরিতে কাজে লাগে এবং এটি খুব দাহ্য তরল পদার্থ যা সহজেই বাষ্পীভূত করা যায়।

এই ঘনার তদন্তে উঠে এসেছে বিভিন্ন প্রকার প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথা। যেমন- যেখানে গ্যাস সঞ্চয় করা হতো তার দুর্বল গঠন, অপ্রতুল হিমায়ন ও শীতলিকরণ ব্যবস্থা, সংবহন ব্যবস্থা অনুপস্থিত এবং সামগ্রিক ব্যবস্থার মূল্যায়ন পদ্ধতির অবনমন।

অর্থাৎ ত্রুটিপূর্ণ পরিচালন ব্যবস্থাই এই ভয়াবহ গ্যাস দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তাই তফন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে হতাহতদের পরিবারগুলির ক্ষয়ক্ষতির দায় বহন করতে হবে এল জি পলিমারকে। এই ঘটনা ইতিপূর্বে ১৯৮৪ সালের ভূপালের কিটনাশক প্লান্টের মিক গ্যাস লিকের ভয়ংকর স্মৃতিকে উসকে দেয়। তাতে সহস্রাধিক নাগরিকের মৃত্যু ঘটেছিলো, যা ছিল পৃথিবীর নিকৃষ্টতম গ্যাস দুর্ঘটনা। আজও প্রায় ৩৫ বছর পরে প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম নিচ্ছে মিথাইল আইসো সায়োনাইড গ্যাসের কুপ্রভাবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।