দেশ বিদেশ

রাষ্ট্র পরিচালিত ‘দূরদর্শন সংবাদ’ ব্যতীত গতকাল থেকে ভারতীয় নিউজ চ্যানেলগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল নেপাল—-


কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:১০ই জুলাই:– একমাত্র ব্যতিক্রম ‘দূরদর্শন সংবাদ’, এছাড়া অন্যান্য ভারতীয় নিউজ চ্যানেলগুলো গতকাল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার। ভারতের মাল্টি- সিস্টেম অপারেটরগুলো– যেমন, মেগা ম্যাক্স, মাই টিভি, ডি এস এন, ডিশোম প্রভৃতি চ্যানেলগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হল। নিউজ কনফারেন্সের সময় নেপালের তথ্যমন্ত্রী যুবরাজ খাতিওয়াদাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান মিডিয়া যদি সংযমী হয়ে সঠিক সংবাদ পরিবেশন করে তবে তা আরও ভালো।

উন্নয়নের সাথে যুক্ত লোকজন বিশেষ শর্তে বলেন যে নেপাল সরকার ভারতের নিউজ চ্যানেলগুলোতে কোনো আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে নি। নেপালের রাষ্ট্রদূত নীলাম্বর আচার্য বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলার সময় শীর্ষস্থানীয় নেপালি রাজনৈতিক নেতাদের সাথে চীনের রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক বৈঠক এবং এই প্রতিবেদনে কিছু অবমাননাকর বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের বিষয়টি তুলে ধরেন।

মেগা ম্যাক্সের সহ-সভাপতি ধ্রুব শর্মা বলেছেন, ভারতীয় নিউজ চ্যানেলগুলো নেপাল সম্পর্কে ‘অতিরঞ্জিত ও বেলাগাম’ প্রচার করছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি এবং চীনের রাষ্ট্রদূত হু ইয়াংকির ব্যাপারে। ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বৈদেশিক উপদেষ্টা রাজন ভট্টরাই ট্যুইট করেন, “নতুন মানচিত্র প্রকাশিত হওয়ার পর আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে ভারতের গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে তা নিন্দনীয়। আমরা তাদের মনগড়া ও মিথ্যা রিপোর্টগুলো সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করি। আমরা তাদেরকে আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বাধীনতার বিষয়ে নেপালের সরকার ও জনগণের একই অবস্থানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে অনুরোধ করছি।”

খাতিওয়াদা আরও বলেন,”ভারতীয় গণমাধ্যমের এ হেন আচরণে দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয়তাবাদ, নেপালবাসীদের আত্মসম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। “আমরা সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করছি নেপালিদের সার্বভৌমত্ব ও আত্মসম্মান ক্ষুণ্ণ করে এমন সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য। এর মধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলোর একাধিক মিডিয়া রয়েছে।”

কাঠমান্ডুতে চীনের রাষ্ট্রদূত দুর্বল প্রশাসনের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী ওলিকে বরখাস্ত করার জন্য পুষ্পকমল দহাল ‘প্রচন্ড’ সহ কমিউনিষ্ট পার্টির রাষ্ট্রপতি ও নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। ওলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সময়ই এসে গেছে কালাপানি ও লিপুলেখ অঞ্চলগুলো নেপালের অংশ হিসেবে দেখিয়ে দেশের নতুন মানচিত্র জারি করা। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে এক নতুন রূপরেখা চালু হয়। একটি ওপেন নিউজ চ্যানেল ওলি এবং চীনা রাষ্ট্রদূত সম্পর্কে অবমাননাকর উক্তি করে যা নেপালের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মর্যাদাহানি করে বলে খাতিওয়াদা দাবি করেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।