অর্থনৈতিক দেশ বিদেশ

করোনার জেরে বিশ্বে কর্মহীন হতে চলেছে ৩৩০ কোটি মানুষ।।


চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:৩০শে এপ্রিল:–করোনা ভাইরাসের কবলে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এর জেরে পৃথিবী ব‍্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে অর্থনৈতিক মন্দা। বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছে আমদানি রপ্তানি। সিল করা হয়েছে আক্রান্ত দেশগলির সীমান্ত। এর ফলে কাজ হারিয়েছে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক। ভারতের যা পরিস্থিতি তাতে ৪০ কোটি ভারতীয় চলে যেতে পারে দরিদ্র সীমার নীচে। এই অর্থনৈতিক সংটকের গভীরতা ২০০৮/৯ এর বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার থেকে অনেক বিস্তৃত।

এর প্রভাবে গোটা বিশ্বে কাজ হারাতে পারেন ৩৩০ কোটি মানুষ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও জানাচ্ছে গত ডিসেম্বরেই তারা আড়াই কোটি মানুষ বেকার হবার যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, এই পরিস্থিতিতে তা বাড়বে ব‍্যাপক হারে।
এই সর্বব‍্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার জেরে সবচেয়ে বেশী প্রভাব পড়তে চলেছে অসংগঠিত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে, প্রভাব পড়বে সংগঠিত ক্ষেত্রেও। আইএল‌ও মনে করছে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলিতে ১২.৫ কোটি মানুষ কাজ হারাতে চলেছে। ভারতের এক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মনে করেন, ভাইরাসের প্রকোপে যে সামাজিক দূরত্ব তৈরী হয়েছে তা কিছুদিনের মধ‍্যেই অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মহীনতায় রূপান্তরিত হবে।

এই অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে উন্নত ও উন্নয়নশীল দু’ধরণের দেশই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন অর্থনৈতিক সংকট প্রত‍্যক্ষ করেনি পৃথিবী। তবে এবছরের শেষ ছমাসে ঘুরতে শুরু করবে অর্থনীতির চাকা।সেক্ষেত্রে সরকার কে অত‍্যন্ত সতর্কতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রতিটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বলেছে আইএলও এর শীর্ষকর্তা গাই রাইডার বলছেন এই মন্দায় বিশ্ব অর্থনীতির হার নেমে যাবে ২.৫% এর নীচে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন এই সংকট থেকে বেড়িয়ে আসতে গেলে ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম বা বিশ্বব‍্যাপী ন‍্যুনতম আয় বাড়াতে হবে। তবেই মোকাবিলা করা যাবে এই বিশ্বব‍্যাপী মন্দার।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম সারা বিশ্ব এমন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়বে। সেক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ হলো সবাইকে একসাথে মিলিত হয়ে কাজ করতে হবে এবং সরকারকে কার্যকর নীতিকৌশল প্রয়োগ করতে হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।