বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

লকডাউন উঠলেআক্রান্ত হবে ৮০ কোটি মানুষ – চাঞ্চল্যকর দাবি জার্মানি থেকে বাঙালি বিজ্ঞানীর।


কল্পনা গুপ্ত, চিন্তন নিউজ:৩০ শে এপ্রিল: – ৩রা মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তবে তা আরো বাড়বে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান গোটা দেশ। সোমবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করার পরে লকডাউন আরো বাড়ারই ঈঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তা তুলবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান গোটা দেশ। অর্থনৈতিক নানা অসুবিধার কারণে অনেকের মতেই তা তুলে দেওয়া দরকার।

কিন্তু এখনি দেশের যা অবস্থা তাতে লকডাউন তুলে দিলে পরিস্থিতি কোন জায়গায় দাঁড়াবে তাই প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববাসীর কাছে আলোকপাত করেন জার্মানিতে গবেষণারত বাঙালি বিজ্ঞানী প্রীতম শুকল। বর্তমানে জার্মানির রস্টোক বিশ্ববিদ্যালয়ে শুকুল কোভিড ১৯ এর প্রধান গবেষক। বিশ্বজোড়া লকডাউনের প্রসঙ্গে বলেন যে জার্মানিতে লকডাউন চলছে এবং তা ভালোভাবে পালন করা হয়েছে বলে সেখানে ট্রান্সমিশন চেনটাকে ব্রেক করতে সক্ষম হয়েছে।

ভারতে লকডাউন চলছে অনেকদিন হলো। বিজ্ঞানী শুকুলের মতে আমাদের দেশের জনসাধারণের মধ্যে যে সামাজিক মেলামেশার প্রবণতা আছে তাতে লকডাউনে ঘরবন্দী অবস্থা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। ফলে এই রোগের ট্রান্সমিশন খুব দ্রুত হয়ে যাবার প্রবল সম্ভাবনা আছে। এদেশের লোকসংখ্যা ও ঘনত্ব অনুসারে দেখা যাবে দু’সপ্তাহের মধ্যে ৮০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়ে যাবে। পরিসংখ্যান বলছে আমাদের ১৩৫ কোটি জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ আক্রান্ত হবে। সংখ্যাটা সত্যি ভয়ানক। তিনি আরো জানান এই রোগের একটা স্তর হলো সার্সের অনসেট হওয়া, তখন রোগীকে ১৪ দিন ভেন্টিলেশনে থাকতে হবে। যদি আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ শতাংশ হয় তাহলে এই বিপুল পরিমাণের রোগীকে ভেন্টিলেশনে রাখার মতন পরিকাঠামো কি আছে ভারতবর্ষে ।

এই হারে রোগের সংক্রমণ ছড়াতে থাকে তাহলে ক্লিনিক্যাল ট্রিয়াজের ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ যদি কোন হাসপাতালে ১০০জন রোগী আসেন, সেখানকার পরিকাঠামো অনুযায়ী সকলকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া সম্ভব হবে না। ফলে বয়স্ক রোগীদের পরিষেবা থেকে বাদ দিয়ে যাদের বাঁচার সম্ভাবণা আছে তাদের চিহ্নিত করে ভেন্টিলেশনে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ফলে সকল আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন হতে পারবে না।

বিজ্ঞানী শুকুলের মতে ভারতে লকডাউন তুলে দিলে যে ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তা সারা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দেবে। বিজ্ঞানীর মতে যতদিন না ভ্যাকশিন আসে ততদিন লকডাউন চলুক। তিনি বলেন যে এই বছরের শেষে অথবা সামনের বছরের প্রথমে ভ্যাকশিন আসবে। তাছাড়াও বিশেষ ধরনের ডিটেকশন পদ্ধতির দ্বারা করোনা ছাড়াও অন্য কোন ভাইরাসের আক্রমণ চিহ্নিতকরণেরও ব্যবস্থা করেছে জার্মানি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যার প্রধান গবেষক বিজ্ঞানী প্রীতম শুকুল।

বিজ্ঞানীর একটাই আর্জি ভারতবাসীর কাছে, যেন তারা লকডাউনকে সফল করার ও ট্রান্সমিশনকে রোধ করায় সাহায্য করেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।